স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের রামুতে দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারী শিশু সহ ছয়জন। বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে রামুর পূর্বদ্বীপ ফতেখাঁরকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল ঘরের বাসিন্দাদের মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ভোরে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাকাত দলের মারধরে আহত পারভীন আকতার জানান, তার স্বামী কর্পোরাল মোহাম্মদ ফিরোজ চট্রগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তার দেবর নুর মোহাম্মদও রামু সেনানিবাসে কর্মরত। বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকার সুযোগে স্থানীয় মঞ্জুর বাহিনীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত ঘরের সীমানা বেড়া ও দরজা ভেঙ্গে-ভেতরে প্রবেশ করে।
ওসময় ঘরের আলমিরার চাবি দিতে না চাইলে ডাকাতরা মারধর করে চাবি কেড়ে নেয়। পরে আলমিরা খুলে নগদ এক লাখ টাকা, আনুমানিক পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ডাকাতদলের মারধরে মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন, কলেজ ছাত্রী সাবিনা শারমিন, পারভীন আকতার, শিশু ওমর ফারুক, সিহাদ ও ফারিহা আহত হয়েছে।
সেনা সদস্য নুর মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে তিনি সেনানিবাস থেকে ছুটি নিয়ে সকালে বাড়িতে স্বজনদের দেখতে যান। তিনি বলেন, খবর নিয়ে জেনেছি অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত স্থানীয় চিহ্নিত ডাকাত মঞ্জুরের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। প্রতিবেশি রামু কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভোর রাতে প্রতিবেশিদের চিৎকারে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। এলাকাবাসী জড়ো হলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রামু থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন চন্দ্র বড়–য়া বলেন, স্থানীয় চৌকিদারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত