প্রকাশিত: ০৬/০২/২০১৭ ১০:৪৬ পিএম

নুরুল আমিন হেলালী::
কক্সবাজারের শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে দেদারছে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। অভিযোগ রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে হাটে, মাঠে, ঘাটে পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিন ব্যবহার বাড়ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটন শহরের বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, কানাইয়ার বাজার, কলাতলী বাজার, কালুর দোকান, গোলদিঘীর পাড়সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ফল, তরিতরকারি, সবজি ও মাছ বাজারে অবাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমান ফল, মুদির দোকান, ভাসমান স্বল্প পুঁজির দোকানেও পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। অল্প পুঁজিতে বেশী লাভের আশায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এসব পলিথিন তৈরীও বাজারজাত করছে। এতে পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার ও বিক্রি রোধ আইন বা বিধিমালা থাকলেও তা কেউ মানছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে অবাধে পলিথিন তৈরী ও ব্যবহার বাড়ছে। শহরের ফল বিক্রেতা শাহজান, মাছ বিক্রেতা জাফর ও মাংস বিক্রেতা রফিক জানান, বড়বাজারের মুদির দোকানগুলোতে অবাধে পলিথিন পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে। এক নাম্বার পলিথিন প্রতি প্যাকেট ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং দুই নাম্বার পলিথিন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ফল, মাছ-মাংস ও তরিতরকারীর দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশী পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলনের কয়েকজন কর্মী জানান, পলিথিন পঁচনশীল নয়। বৃষ্টি হলেই শহরের ড্রেনগুলোতে দিনের পর দিন পলিথিন আটকে থাকে। এর ফলে পর্যটন শহরের পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, এসব নোংরা পলিথিন ধরলে ক্যান্সার, আলসারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। পরিবেশ বিধ্বংসী এসব নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যপারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা জরুরী বলে জানান সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...