কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর নতুন অফিস এলাকায় কুয়েত প্রবাসী লুৎফুর রহমান লুতুর নির্মাণীধীন বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীসহ প্রায় সাড়ে ৪ লাখটাকার মালামাল লুটের ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুয়েত প্রবাসীর ছোট ভাই জিহাদী বাদী হয়ে ৭ জুন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা বাদীকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দেয়ায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর মধ্যম নাপিতখালী গ্রামের মৃত হাজী ইসহাক সওদাগরের ছেলে বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী লুৎফুর রহমান লুতু তার ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে দুইতল বিশিষ্ট একটি দালান ঘর নির্মাণ কাজ গত ২ বছর আগে শুরু করেন। দালানের একতলা নির্মাণ কাজ শেষে গত ২ বছর আগে কুয়েত চলে যান বাড়ি মালিক লুৎফুর রহমান। বাড়ি মালিক কুয়েতে অবস্থান করায় তার ছোট ভাই ইমদাদুল ইসলাম জিহাদী বাড়িটির নির্মাণ কাজ দেখাশুনা করে আসছে।
গত ১ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় মানবপাচার মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামী নুরুল আজিমের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নির্মাণাধীন বাড়ির গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ভেতেরে প্রবেশ করে। বাড়ি ভিতর থাকা ইমদাদুল ইসলাম জিহাদীকে অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং বাড়ির ভিতরে থাকা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্মাণ সামগ্রী, নগদ টাকাসহ মালামাল অজ্ঞাতনামা ডাম্পার গাড়ি যোগে লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনার পর ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরির্দশক (এসআই) দেবাশীষ সরকার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান।
এব্যাপারে প্রবাসীর ছোট ভাই ইমদাদুল ইসলাম জিহাদী বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো জ্জ জন অজ্ঞাতনামা সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (কক্সবাজার থানার মামলা নং-৩৪, জিআর-৫৯৩, তাং ৭/৬/২০১৭ইং) দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছে, নুরুল কবির, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আজিম,নুরুল আমিন, শহীদুল আজিম হিরু, নুরুল হক, গুলজার বেগম ও রুবেল মিয়া। এসব আসামীর বাড়ি ইসলাম পুর জুম নগর, নতুন অফিস ও মধ্যম নাপিতখালী এলাকায়। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরির্দশক (এসআই) দেবাশীষ সরকারকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলার আসামী নুরুল আজিম একজন প্রতিষ্টিত মানবপাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ি। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মানবপাচার মামলা নং-২০, জিআর-৬০/১৫, তার ১৮/২/২০১৫।
অর্গানাইজক্রাইম সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়ার্ড সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর রিপন চন্দ্র সরকার গত ২৪/৭/২০১৫ইং অভিযোগ পত্র নং-২০১ ধারা-মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮ দায়ের করেন। এছাড়াও মানবপাচারকারী নুরুল আজিম সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানার মামলা নং-৫৩, জিআর-৬৪৯, কক্সবাজার থানার মামলা নং-৩৪ সহ বিভিন্ন থানায় আরো অনেক মামলা রয়েছে। এরা পরস্পর সিন্ডিকেট করে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
মামলার বাদী ও কুয়েত প্রবাসীর ছোট ভাই ইমদাদুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ঘটনার পরবর্তী থানায় মামলা দায়ের করায় সশস্ত্র আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করে আমাকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দেয়ায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি।
এব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত