নিউজ ডেস্ক:: কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব(ওএসডি) জাফর আলমকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম সরকার তাকে গ্রেফতার করেন।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনায় দুদকের মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হল।
এর আগে ৩ এপ্রিল দুদক টিম কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার ও কক্সবাজারের সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
মামলার প্রধান আসামি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কাটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদক মামলা করে।
তদন্ত শেষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সার্ভেয়ার কানুনগোসহ ১৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল জানান, ৩ মে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে তিনি চার্জশিট দাখিল করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মহেশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মাঝে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নিজেদের করায়ত্তে নেয় কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদারের নেতৃত্বে ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট।
এ থেকে কৌশলে তারা ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা তুলে নেয়। বাকি টাকার জন্য ইস্যু করা হয়েছিল আরও পাঁচটি চেক। তবে অভিযোগ উঠার পর পাঁচটি চেকের আওতায় নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা আটকে দেয়া হয়। এ অনিয়মে সহায়তা করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
পাঠকের মতামত