প্রকাশিত: ০৪/০৬/২০১৭ ৮:৫৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:০৩ পিএম

অপার সৌন্দর্য্যরে বেলাভূমি আমাদের প্রিয় দেশ, বাংলাদেশ। এ দেশের প্রতিটি কোণায় কোণায় রয়েছে সৌন্দর্য্যরে হাতছানি। পার্বত্য অঞ্চলের সবুজঘেরা পাহাড়, সুন্দরবনের দিগন্ত বিস্তৃর্ত সবুজ বনানীর মাতোয়ারা ঢেউ, সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রাগৈতিহাসিক স্থাপনা। এসব কিছুর মাঝে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে প্রকৃতির অপরূপ নিদর্শন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পর্যটনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় স্থান কক্সবাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ পর্যটকদের জন্য তেমন সুযোগ সুবিধা ছিল না বললেই চলে। বর্তমানে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সাথে সাথে দেশের পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটছে দ্রুত গতিতে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ খাতের উন্নয়ন বোধ হয় কল্পনাকেও হার মানিয়েছে।

গত ৬ মে পর্যটকদের সুবিধার জন্য উদ্বোধন করা হয় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ। এক হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এত সুন্দর সমুদ্রসৈকত, কিন্তু কক্সবাজার সব সময় অবহেলিত ছিল। এটাকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করছি।

সত্যিই তাই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সত্যিকার অর্থেই অবহেলিত ছিল। অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না ভালমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার রাস্তার যে বেহাল দশা ছিল সেটা চিন্তা করলে ভ্রমণের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে যেত। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় একদিকে সবুজঘেরা পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্রের ঢেউ পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সমুদ্রের তীর আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তৈরি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে নি:সন্দেহে। সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত নয়নাভিরাম পথটিতে রয়েছে ১৭টি ব্রীজ ও ১০৮টি কালভার্ট, যার প্রতিটিতে রয়েছে যেন শিল্পের ছোঁয়া।

রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের পর নিজেও সৈকতে অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন, সাগরের লোনা জলে নেমে কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেন তিনি।

কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কক্সবাজারের অবদান স্মরণযোগ্য। দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে দেশের পর্যটন শিল্প আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আগে যেমন অনেকেই থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের জন্য মেরিন ড্রাইভ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া বিদেশী পর্যটকদের কাছে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য্যরে বার্তাটি পৌঁছে দিতে হবে যথাযথভাবে। যাতে করে আরো বেশি বিদেশী পর্যটক আসবে এখানে, আর সমৃদ্ধ হবে আমাদের দেশিয় অর্থনীতি।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি, ফেরত গেলেন ১২৩ বিজিপি-সেনা সদস্য

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৮৫ বাংলাদেশি। অন্যদিকে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ...

দেশ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে- শাহ জাহান চৌধুরী

টেকনাফের বিশাল কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহ জাহান চৌধুরী বলেন, দেশ দখল দারদের ...

অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাফিক জ্যাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক জ্যাম ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের দূর্দশা এখন ...

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে নাইক্ষ্যংছড়িতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ...