ফারুক আহমদ, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২৬/০৭/২০২৫ ৯:১৪ এএম
কক্সবাজারে জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্যাম্বু ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ বাঁশের চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও চকরিয়া উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিএনআরএস। ইতিমধ্যে ৬ লাখ চারা বিতরণের দাবি করা হলেও প্রকল্প এলাকা ঘুরে তেমন কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম পাওয়া যায়নি।

 

সিএনআরএসের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর মলয় কুমার সরকার জানান, ৪ উপজেলায় ২ হাজার গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে ৫২ হাজার পরিবারের মাঝে চিতা ও মুলি বাঁশের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। উখিয়া বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, তাদের কাছে কোথাও চারা রোপণের কোনো তথ্য নেই। এমনকি সংস্থাটি কখনো বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছে বলেও জানা নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকল্পের নার্সারি স্থাপন, চারা উৎপাদন ও বিতরণ সবখানেই অনিয়ম চলছে। কোথাও সঠিকভাবে বনায়নের প্রমাণ নেই।
উখিয়া পেশাজীবী সংগঠনের সহ-সভাপতি গফুর মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের অর্থ ও কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। কে কত টাকা পেল, কোথায় কী রোপণ হলো — কিছুই পরিষ্কার নয়।’
বাপা কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, ‘বাঁশ রোপণ একটি ভালো উদ্যোগ হলেও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে প্রকল্প ব্যর্থ হবে। তাই পুরো প্রকল্প তদন্ত করা দরকার।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, নদীভাঙন এলাকায় বাঁশ রোপণের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাঠকের মতামত

সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট, লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি

তিনদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র ...

কক্সবাজার হোটেল মিশুকে জার্মান পর্যটককে লাইনের পানি দিয়ে মিনারেল পানির বিল

কক্সবাজারের হোটেল মিশুকে এক জার্মান পর্যটককে লাইনের পানি দিয়ে মিনারেল পানির বিল ধরিয়ে হয়রানি করার ...