
ডেস্ক রিপোর্ট::
মিয়ানমারের রাখাইনে কমপক্ষে এক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ভিভিয়ান তানের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক এই সংস্থা জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত দুই সপ্তাহে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়েছে।
বাংলাদেশে দুটি শরণার্থী শিবির এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ‘শরণার্থীতে ভরপুর’। তাদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দাতা সংস্থাগুলো।
হাজার হাজার শরণার্থী বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের রাস্তার পাশে অস্থায়ী তাবু টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বড় অংশটাই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘অধিকাংশ আশ্রয় প্রার্থীই নারী। তাদের সঙ্গে আছে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু, পরিবারের সদস্য ও কম বয়সী শিশু। তারা খুবই হতদরিদ্র অবস্থায় এখানে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত এবং মরিয়া হয়ে আশ্রয় খুঁজছে।’
মিয়ানমার বাহিনীর অবরোধের মুখে গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এরপর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে পুঁতে রাখায় হয় স্থলমাইন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, কুপিয়ে হত্যা, নারীদের গণর্ষণের অভিযোগ উঠে। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের বেগে তার বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
পাঠকের মতামত