প্রকাশিত: ২৫/০৫/২০১৭ ১০:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩৫ পিএম

উখিয়া প্রতিনিধি::

উখিয়ার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী সহ নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভোগী গ্রাহকেরা তাঁর স্বৈরাচারী আচরণে দিন দিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। যার ফলে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে সাধারণ গ্রাহকের বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি গ্রাহকের দাবী তাঁকে উখিয়া থেকে অন্যত্রে সরিয়ে দিয়ে একজন জনবান্ধব অফিসার নিয়োগ দেওয়ার হউক।
জানা গেছে, গত ১বছর পুর্বে উখিয়া সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন আবুল মনজুর নামের এক কর্মকর্তা। তাঁর গ্রামের বাড়ী উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামে। এলাকার ছেলে হিসেবে তিনি উখিয়ায় যোগদান করায় স্থানীয় গ্রাহকের মাঝে কিছুটা হয়রানী লাগব হবে বলে আশা করলেও প্রতিনিয়ত এখন ঘটছে তাঁর আরো উল্টো। যারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার মের্সাস আবছার ট্রের্ডাসের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আবছার তাঁর ব্যবসায়িক একটি কনস্ট্রাকশনের বিল নিয়ে গেলে ম্যানেজার বিল পাস না করে তাঁকে একটি একাউন্ট করার প্রস্তাব দেয়। তাঁর কাছে একাউন্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পরবর্তীতে করলে বলে এবং বিলটি পাস করার অনুরোধ করে কিন্তু ব্যাংক ব্যবস্থাপক আবুল মনজুর তা না শুনে তাঁকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ফেরত দেয়। আবছার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুধু অসৌজন্যমূলক আচরণ নয়, আমার নিকট থেকে ব্যাংক ম্যানেজার ২হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে। তিনি আরো বলেন, ইতিপুর্বে যে সমস্ত ম্যানেজার সোনালী ব্যাংকে এসেছে এরা কোন দিন এ ধরনের চেক পাস করার সময় একটি টাকাও সুবিধা নেয়নি। কিন্তু ওনি এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের চেক পাস করেছে টাকার বিনিময়ে। একই ভাবে উখিয়া পোস্ট অফিসের সাবেক পোস্ট মাষ্টার (বর্তমান হ্নীলা) জসিম উদ্দিন বলেন, আমি শ্বশুরের পেনসনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে এই ব্যাংক ম্যানেজার আবুল মনজুর আমার সাথে এবং আমার শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষকের সাথে খারাপ আচারণ করেছে। এ ধরনের আরো অনেক গ্রাহক উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
সুত্রে আরো জানা গেছে, সাগরপথে মানব পাচারকারী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত গডফাদার ফয়েজুল্লাহ ফয়েজের ভাই হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের এই ম্যানেজার আবুল মনজুর। তাঁর মানবপাচারের সমস্ত টাকা লেনদেন হত তাঁর ভাইয়ের হাত ধরে। কিন্তু দুদকের তাঁর টাকা হদিস নিতে পারে এমন আশংকা করে কয়েক মাস পুর্বে তাঁর ব্যাংক একাউন্ট ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সুত্রে নিশ্চিত করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবুল মনজুর সাংবাদিকদের জানান, আমি নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় বিল পাস করবো। এর বাইরে হলে আমার পক্ষ সম্ভব না বিধায় করিনি।

 

পাঠকের মতামত