প্রকাশিত: ১২/০৪/২০১৭ ১১:২৮ এএম , আপডেট: ১২/০৪/২০১৭ ১:০৫ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
পবিত্র মাহে রমজান আসতে আর দেড়মাস বাকি। এর মধ্যে কৌশলে উখিয়াতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা। প্রশাসনের নজর এড়াতে রমজানের ব্যবহারযোগ্য ভোগ্যপণ্যের তালিকায় থাকা ছোলা, চিনি, গম, তেল ইত্যাদি পণ্যের দাম বিভিন্ন অজুহাতে আগেভাগেই নানা অজুহাত বাড়িয়ে চলেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলছেন, আমদানি কম হওয়ার কারণে রমজানের আগেই দাম বাড়ছে। ভোক্তারা বলছেন, এখন বেশি আমদানি করে মজুদ করে রাখছে। কারণ রমজান এলে প্রশাসনের নজরদারি বেড়ে যায়। ফলে আগে থেকে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। চট্রগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতে ২১ টি বড় জাহাজ থেকে রমজানের অত্যবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য খালাস করা হয়েছে। এসব জাহাজে প্রায় ১০ লাখ টন ডালজাতীয় পণ্য, অপরিশোধিত চিনি, ভোজ্যতেল ও লবণ রয়েছে।আর এসব পণ্য রমজানের তিন মাস আগেই অন্য সময়ের প্রায় তিনগুণ আমদানি হয়ে থাকে। দেশে এসব পণ্যেও ঘাটতি না থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যে এখন থেকে প্রতিকেজি ৬ থেকে ৭ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিন মাস আগে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল ৫২ টাকা। অথচ এখন বাজারে চিনির দাম ৭৫ টাকা। উখিয়া বাজার ব্যববসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব একরামুল হক বলেন, এক সময় রমজানের এক মাস আগে থেকে পণের মজুদ ও দাম বাড়াত ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু ওই মুহুর্তে প্রশাসনের নজরদারি থাকে, তাই এখন রমজানের দুই তিন মাস আগেই পণ্যেও মজুদ ও দাম বাড়িয়ে রাখে। উখিয়াবাসীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, রমজান আসার দুই তিন মাস আগে থেকে ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ান। প্রশাসন যখন চাপ দেয়, তখন তারা দাম কিছুটা কমায়। এটা তাদের একটা কৌশল। তাই আমরা আশা করব, বাজার অস্থিরতার দিকে না যাওয়ার আগে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পাঠকের মতামত

আইনি লড়াইয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন হুমায়ুন কবির চৌধুরী

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উপনির্বাচনে মহামান্য হাইকোর্টের রাযে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক বাতিলকৃত মনোনয়ন ...

ড্রেন ও ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে মাঠে নামলো কক্সবাজার পৌরসভা

চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ডুবে ছিল কক্সবাজার শহরের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে টানা বৃষ্টিপাতে হোটেল—মোটেল জোনের ...