প্রকাশিত: ০৩/০৯/২০১৬ ৯:১৫ পিএম , আপডেট: ০৩/০৯/২০১৬ ৯:২৫ পিএম
উখিয়ার পালংখালীতে বনবিভাগের জায়গার উপর নির্মিত বহুতল ভবন

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার পালংখালীতে সরকারী বনভূমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বহুতল ভবনে হানা দিয়েছে উখিয়া বনবিভাগ।   শনিবার বিকেলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী অভিযান করেন। থাইংখালী বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসাবে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বহুতল ভবনের ছবি ধারণ সহ পরিমাপ করা হয়েছে। এদিকে অনলাইন নিউজ পোটাল  উখিয়া নিউজ ডটকমে উখিয়ায় সরকারী বনভূমি তৈরি হচ্ছে বহুতল ভবন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বনবিভাগের টনক নড়ে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন থাইংখালী বনবিটের অধিনে পালংখালীতে সংরক্ষিত বিশাল বনাঞ্চল সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু জবরদখল করে নিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্লট আকারে বিভিন্ন জনকে উক্ত বনভূমি বিক্রি করে। উক্ত সরকারী জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা তৈরী যেন সচেতন মহলে হতভাগ বনে গেছে। গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে পালংখালী ষ্টেশনের সামান্য উত্তর পার্শ্বে আরকার সড়কের লাগোয়া সরকারী বন বিভাগের জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসাবাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার রাষ্টন কুমার দেবনাথ নামক জৈনক ব্যক্তি ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে বন বিভাগের জায়গা জবরদখল করে বহুতল ভবন নিমার্ণ করে। স্থানীয় সচেতন জনগণ জানান, বন বিভাগকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে সরকারী জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা বা বহুতল ভবন নিমার্ণ করেছে তিনি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ডাঃ রাষ্টন কুমার দেবনাথ বহুতল ভবনটি সরকারী বন বিভাগের উপর অবৈধ ভাবে নির্মাণের কথা সত্যতা স্বীকার করেন। বন বিভাগ উচ্ছেদ করলে তিনি চলে যাবেন। তবে এই নিয়ে পত্রিকায় ভালোভাবে রিপোর্ট করলেও তার কিছু যায়-আসে না। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বনভূমি জবরদখলকারী রাষ্টন কুমার দেবনাথ হচ্ছে ভুমিদস্যু চক্রের অন্যতম সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বে পালংখালী এলাকায় বহু বনভূমি জবরদখল করে একের পর এক দালান বা বহুতল ভবন তৈরী করলেও বন বিভাগ তার কাছে অসহায়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ স্থাপনা ও তৈরিকৃত দালান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য ইতি মধ্যে উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটিতে উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেডের নেতৃত্বে বহুতল ভবন উচ্ছেদ সহ সরকারী বনভূমি জবর দখল থেকে রক্ষা করার জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তারনিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

এদিকে পালংখালীর বিশাল বনভূমিতে প্রায় ১ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সরকারী বনভূমি জবর দখল করে এসব স্থাপনা বা বসতবাড়ি তৈরী করেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বনভূমি বেদখলমুক্ত করার জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...