প্রকাশিত: ২১/১০/২০১৬ ৯:০১ পিএম

এম আবুল কালাম আজাদ, উখিয়া::

উখিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে নানা প্রকার চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সাথে সাধারণ মানুষেরা চরম আতংক ও শংকিত হয়ে পড়েছে। রাত জেগে গ্রামে গ্রামে পাহারা বসানোর মত উপক্রম দেখা দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরবতার কারণে সঙ্গবদ্ধ চোরের দল প্রতি রাতেই কোন না কোন বসত বাড়িতে হানা দিয়ে গরু, ছাগল, টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০/১২টি চুরি সংঘটিত হয়েছে। এপর্যন্ত থানা পুলিশ কোন চিহ্নিত চোর সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের রাজাপালং গ্রামের মৃত জালাল আহমদ মেম্বারের ছেলে নুরুল বশর সিকদার ও একই এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলের দুটি গর্ভবতী গাভী হলদিয়া পালং এর পেশাদার সংঙ্গবদ্ধ চোর পূর্ব মরিচ্যা মধু ঘোনার মৃত জাফর আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন, মোঃ ইব্রাহি, আমির হোসেনের ছেলে মোঃ ফারুক, ঘাটি পাড়া গ্রামের মৃত আনজুমিয়ার ছেলে মনছুর আলীসহ ৭/৮ জন গরু চোর গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে দুটি গাভী নিয়ে রাজাপালং মাদ্রাসা সংলগ্ন কবর স্থানে জবাই করে মাংস ও চামড়া মরিচ্যা বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাই। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ঘটনাস্থলে একটি মৃত গরুর বাচুর আর জবাইকৃত গরুর নাড়ি ভুড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। প্রত্যক্ষদর্শী হাকিম আলীর সহায়তায় চিহ্নিত গরু চোর সিন্ডিকেটের প্রধান মনছুর আলীর চামড়ার গুদাম থেকে জবাইকৃত গর্ববতী গাভী ২টির চামড়া উদ্ধার করা হয়। এসময় থানা পুলিশের এস.আই মুশিউরও চোরাইকৃত গরুর আলামত জব্দের সময় উপস্থিত ছিলেন বলে থানা সুত্রে জানা গেছে। গরুর মালিক নুরুল বশর বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বসতঘরে বেশ কয়েকটি গরু লালন পালন করে আসছি জাবাইকৃত গর্ববতী গাভীটি প্রায় ৯০ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছি। গরু চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম ঠিকানাও জবাইকৃত গরুর চামড়া মৃত বাছুর থানায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিষয়টির দ্রুত ব্যবস্থা নিলে উখিয়াবাসী চোরের উপদ্রব থেকে রক্ষাপাবে বলে আমি আশা করি।

অপর গাভী গরুর মালিক বাদশা মিয়া বলেন, কোন রকম অভাব অনটনের সংসারে দুধ বেচা বিক্রি করার জন্য একটি গরু কিনেছিলাম। সংঙ্গবদ্ধ চোরেরা আমার গোয়াল ঘর ভেঙ্গে একই দিনে নুরুল বশরের গাভীটিসহ একই স্থানে জবাই করে তার পর মাংস ও চামড়া গুলো মরিচ্যা বাজার বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে গরু চোর মনছুর আলীর চামড়ার গুদাম থেকে আলামত উদ্ধার করি।

এঘটনায় নুরুল বশর ও বাদশা মিয়া বাদী হয়ে থানায় গরুচোরের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নিতে পৃথক পৃথক এজাহার দায়ের করেছেন। থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে দ্রুত গরুচোরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ

নারী সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর পাশাপাশি বৈষম্যহীন ...

কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের ইউনিটস আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুল হাসানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ...

ইসলামী উইন্ডো থেকে গ্রাহকের ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ সোনালী ব্যাংক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপকসহ টাকা লুট করলেন কর্মকর্তারা

আলমগীর কবির ২০১৯ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে একটি ঋণের জন্য আবেদন করেন। আবেদন যাচাই বাছাই ...

সাবেক ৩০ ডিসি-ইউএনওসহ টেকনাফের সাবেক ইউএনওকে তলব, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বৈঠক আজ

বিগত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রশ্নবিদ্ধ তিনটি নির্বাচনে কারচুপির তথ্য ...

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ...