উখিয়া নিউজ ডটকম::
দেশের খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ এলজিইডি’র ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক অবদান রেখেছে। উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত ৪টি রাবার ড্যামে চাষাবাদ করে ইতিমধ্যেই আত্মনির্ভরশীল হয়েছে এলাকার হাজারো প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও বর্গাচাষী। সর্বোপরি হরিণমারা খালের উপর নির্মানাধীন রাবার ড্যামের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে ৪টি রাবার ড্যামের আওতায় অতিরিক্ত ৫ হাজার একর জমিতে বোরো চাষাবাদ শাক-সবজ্বি উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষক।
নির্মাণাধীন হরিণমারা ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে রাবার ড্যামের উন্নয়ন কাজ চলছে জোরেসোরে। ঠিকাদার আবুল বাশার রুদ্রা জানান, আগামী মৌসুমে এ রাবার ড্যামের আওতায় বোরো চাষাবাদ করা সম্ভব হবে। হরিণমারা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির জানান, এ রাবার ড্যামের আওতায় হরিণমারা খালের উপর যে ব্রীজটি নির্মাণ করা হচ্ছে তা এলাকার যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখবে। তিনি বলেন, এ রাবার ড্যামের আওতায় খালের দু’পারে কৃষি-মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র হ্রাসসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে পাগলিরছড়ার উপর রাবার ড্যাম, রাজাপালং ইউনিয়নের ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে পশ্চিম ডিগলিয়া রাবার ড্যাম ও ৩ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে থিমছড়ি পূর্বকূল রাবার ড্যাম হাজারো গরবী দুস্থ কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে দাবী করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, ৪টি রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ৫ হাজার একর অনাবাদী জমিতে বোরো চাষাবাদসহ শাক-সবজ্বি উৎপাদনের মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র কৃষকেরা আত্মনির্ভরশীল হবে। তিনি বলেন, রাবার ড্যামের আওতাধীন পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ী আমানতের টাকা ঋণ নিয়ে ছোটখাট ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে।
রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া খালের উপর নির্মিত রাবার ড্যাম ঘুরে স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানান, এ রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ১ হাজার একর জমিতে বোরো চাষাবাদ সম্ভব হবে। পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সেক্রেটারী অধ্যাপক শাহে আলম জানান, রাবার ড্যামে পানির উচ্চতা আরেকটু বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে বিপুল পরিমাণ জমিজমা, শাক-সবজ্বি ও বোরো চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব ছিল।
রাবার ড্যামের ব্যাপারে সাংবাদিকদের আশ্বাস্ত করে উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহামুদ জানান, সুষ্ঠু পরিচালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হলে উখিয়ার ৪টি রাবার ড্যাম কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
পাঠকের মতামত