প্রকাশিত: ১২/১১/২০১৬ ৯:২৬ পিএম
1478963717চট্টগ্রাম ব্যুরো::
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বসন্তের কোকিল ও মৌসুমি পাখির স্থান আওয়ামী লীগে নেই। দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এসব বসন্তের কোকিল ও মৌসুমি পাখিদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রামের নেতাদের ‘সংবর্ধনা’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের শুধু উল্লেখিত মন্তব্য করে ক্ষান্ত হননি, উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছে রসিকতা করে নোয়ালীর আঞ্চলিক ভাষায় জানতে চান, ‘হাছা কইলাম নাকি মিছা কইলাম।’ উপস্থিত নেতাকর্মী উচ্চস্বরে জবাব দেন ‘হাছা কইছেন’।
অনুপ্রবেশকারীদের দল ছেড়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন, বসন্তের কোকিল কারা কারা দলে অনুপ্রবেশ করেছেন, আপনাদের বলছি- আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিল আর মৌসুমি পাখির কোন স্থান নেই। চলে যান, আমার মৌসুমি পাখির দরকার নেই। শেখ হাসিনার বসন্তের কোকিলের দরকার নেই।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের শৃঙ্খলা মানলে দলে থাকবেন, না হলে দলে থাকার কোনো অধিকার নেই। গুটি কতকের জন্য দলের বদনাম হবে এটা হতে পারে না।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ব্যানারে-বিলবোর্ডে আমার ছবি দেখতে আসিনি। আমি এই চট্টগ্রামে আমার নামে তোরণের শোভা দেখতে আসিনি।  কারণ আমি জানি ফুলের মালা শুকিয়ে যাবে, আমি জানি এই ফুল শুকিয়ে যাবে। আমি জানি কাগজের ফুল ছিঁড়ে যাবে। আমি জানি পোস্টারের ছবি ছিঁড়ে যাবে।  আমি জানি তোরণের ছবি ভেঙে যাবে।  আমি জানি পাথরের ছবি ক্ষয়ে যাবে। কিন্তু হৃদয়ের কথা রয়ে যাবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মঞ্চের দিকে তাকিয়ে দেখুন।  আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, অভিন্ন।  আপনারা ওখান থেকে টুকটাক এটা-সেটা করবেন, ওইদিন চলে গেছে। এটা আর করতে দেয়া হবেনা। ‘ঠিক হয়ে যান, অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। কাউকে ছাড়া হবে না। শেখ হাসিনার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ’ এক পর্যায়ে মঞ্চে থাকা চট্টগ্রামের নেতাদের দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথও করিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী ‍সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপদফতর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপপ্রচার সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাঙামাটির এমপি দীপংকর তালুকদার, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এমপি ইছহাক মিঞা প্রমুখ।
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. অনুপম সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বডুয়া, কার্য নির্বাহী সদস্য বাবু দীপংকর তালুকদারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। -মানবকন্ঠ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...