প্রকাশিত: ২৫/০১/২০১৭ ১১:১৪ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

পাহাড় এবং সামাজিক বনায়নের চারাগাছ কেটে ঝুঁপড়ি নির্মাণ, সড়কের পাশে বসে ভিক্ষাবৃত্তিসহ রোহিঙ্গাদের নানা কর্মকাণ্ডে প্রশাসন বিব্রত। এছাড়া স’ানীয় শ্রমের বাজারে রোহিঙ্গার প্রভাব, নিত্য পণ্যের বাজারে অসি’র পরিবেশ, মাদক ও জাল টাকা বাজারজাতকরণ নিয়ে অজানা আতংকে ভুগছে উখিয়ার আড়াই লক্ষাধিক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। স’ানীয়দের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মো. শামশুদ্দোজার সাথে রোহিঙ্গার ব্যাপারে আলাপ করা হলে তিনি জানান, নিবন্ধিত প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গার গতিবিধি, আচার, আচরণ এবং নৈতিক পরিবেশ সবকিছুর উপর ক্যাম্প প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস’া নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে ক্যাম্পের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। ২০১২ সালে সীমান্তের নাফ নদী অতিক্রম করে আসা প্রায় ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার ব্যাপারে জানতে চাওয়া  বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানালেন, এসব রোহিঙ্গাদের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ না করার জন্য বিভিন্ন এনজিওগুলোর প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যা এখনো বলবৎ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, কুতুপালং বস্তি এলাকাটিতে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে। বস্তির সভাপতি আবু ছিদ্দিক রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের জন্য উৎসাহ যোগাচ্ছে । এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে বস্তি এলাকায় স’ায়ী পুুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা বলেন, বস্তির রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে তারা বেপরোয়া হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে। যা আইনশৃঙ্খলার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পাহাড় কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করে ঝুঁপড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়ায় রোহিঙ্গারা তাদের উপর ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে ৫ জন বনকর্মীকে আহত করেছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, সম্প্রতি র্যা বের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ৩ রোহিঙ্গা সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কারনে রোহিঙ্গাদের উপর পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, মানবিক কারণে প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে কুতুপালংয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে এখানকার স’ায়ী বাসিন্দাদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

পাঠকের মতামত

টেকনাফে বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য় ভূমিকা শীষক সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের টেকনাফে “বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য়  ও সামাজিক নেতাদের ভূমিকায়” শীষর্ক সভা অনুষ্ঠিত ...

হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে সেন্টমার্টিনে বনভোজন, ভোগান্তিতে রোগীরা!

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। হাসপাতালের চিকিৎসক কমকর্তা-কর্মচারীসহ ...