প্রকাশিত: ২১/১০/২০১৯ ১২:৪২ পিএম

নগরীর খুলশী থেকে এক ভারতীয় মহিলাসহ আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের পাঁচ নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে জাকির হোসেন বাই লেন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় র‌্যাব তাদের বহনকরা একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার কাজী মো. তারেক আজিজ।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা হয়ে ভারতসহ অন্যান্য দেশে ইয়াবা পাচার করে থাকে এ সিন্ডিকেট। কৌশল হিসেবে সিন্ডিকেটটি নারীদের ব্যবহার করছেন। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে আড়ালে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সংগ্রহ করে থাকেন। পরে তা দেশের বিভিন্নস্থানের পাশাপাশি ভারতসহ বিশ্বের অন্য দেশে পাচার করে থাকেন।

গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ নারী হলেন- ভারতীয় নাগরিক কোমল কর (২৮), ঢাকা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রোজিনা আক্তার (৫২) ও তার মেয়ে নাইমা বেগম (২৮) এবং মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার শাহানাজ বেগম (৫০), তার মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম (২১)। এদের মধ্যে কোমল কর ভারতের উত্তরাখন্ড নানকমাথা এলাকার বাসিন্দা। তিনি রোজিনা বেগমের সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি হন। রোজিনা বাংলাদেশি এক নাগরিকের সাথে সম্পর্ক থাকায় ভারত থেকে এ দেশে আসেন এবং ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে বিয়ে করেন। যার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে বসবাস করছেন বলেও জানায় র‌্যাব।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব কর্মকর্তা কাজী মো. তারেক আজিজ পূর্বকোণকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই এই সিন্ডিকেট দলটি কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ ভারত ও অন্য দেশে ইয়াবা পাচার করে আসছে। গত কিছুদিন আগে তারা একটি মাইক্রোবাসসহ ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়ে ইয়াবা সংগ্রহ করেন এবং (রবিবার) চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এই পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন থেকেই এ কাজে জড়িত রয়েছেন স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট পোটলা করে ইয়াবাগুলো তাদের সাথে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগে সুকৌশলে রাখা হয়। ইয়াবাগুলো তারা ঢাকা ও ভারতে পাচার করার কথা ছিল বলেও জানান বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় নাগরিক কোমল এ কাজে দীর্ঘদিন থেকেই জড়িত রয়েছে বলেও র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। সংগ্রহ করা এসব ইয়াবা ভারতে পাচার করার কথা ছিলো বলেও জানায় কোমল।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কোমল-রোজিনা সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি। দীর্ঘদিন রোজিনা-শাহানাজ পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকার কারণেই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুজনেই ইয়াবা ব্যবসায় জড়ান। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং বাজারের সাদ্দাম ও আরাফাতের নেতৃত্বে সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে পাচার হচ্ছে নিত্যপণ্য

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাচার হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার ...

উখিয়ায় ইউএনএইচসিআর’র স্থাপনায় তালা ঝুলালো বন বিভাগ

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী বিট এলাকায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একটি স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ নোটিশ ...

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কক্সবাজারের ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগকে ফেরত দেয়া হচ্ছে

উপদেষ্টা বলেন, বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম ...