প্রকাশিত: ২৮/১১/২০১৯ ৯:৩৮ এএম

নোয়াখালীতে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইব্রাহিম খলিল ওরফে ভান্ডারি রুবেল (৩২) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন।

ডিবি পুলিশের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছোরা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিবির ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে মাইজদী শহরের হরিনারায়ণপুর রেললাইনসংলগ্ন পশ্চিম মাহদুরি চাপা মিয়ার বাগানে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ভোরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত ভান্ডারি রুবেল আইয়ুবপুর এলাকার আবুল কাশেম ভান্ডারির ছেলে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ডিবির ওসি কামরুজ্জামান সিকদার, উপপরিদর্শক সায়েদ মিয়া, ওমর ফারুক, সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ আলম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডিবি পুলিশ জানায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের হরিনারায়ণপুর রেললাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ পিস ইয়াবাসহ একাধিক মামলার আসামি ও মাদক কারবারি ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ ভান্ডারি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে অস্ত্র আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে তাকে নিয়ে হরিনারায়ণপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম মাহদুরি চাপা মিয়ার বাগানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।

এ সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেলের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেল নিহত ও পাঁচ পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, নিহত ইব্রাহিম খলিল ওরফে রুবেল ভান্ডারির বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। রুবেল ভান্ডারি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...