প্রকাশিত: ১৭/১০/২০১৮ ৭:৪২ এএম

নিউজ ডেস্ক :
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মোস্তাক আহামদ মুরগীর সাথে ইয়াবা পাচার করে হয়েছেন কোটিপতি। কোটি টাকা খরচ করে হয়েছেন ইউপি সদস্য। একের পর এক ইয়াবা মামলা হওয়ার পরও আছেন ধরাছোয়ার বাইরে। প্রকাশ্যেই করছেন রাজনীতি, অংশগ্রহন করছেন সভা সমাবেশে। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এখনো প্রতি সপ্তাহে দুই বার করে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করছেন। অক্টোবর মাসে ৮ ও ১৩ তারিখ দুই দফায় ঢাকায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে মোস্তাকের সহযোগীরা ইয়াবা সহ আটক হলেও পালিয়ে গেছেন গডফাদার মোস্তাক। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ঢাকায় দুইটি ইয়াবা মামলার আসামী হয়েও কক্সবাজারে প্রকাশ্যেই আছেন মোস্তাক। প্রকাশ্যে কক্সবাজারের এক সংসদ সদস্যের সাথে অংশ নিচ্ছেন সভা-সমাবেশে।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোস্তাক আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এই মোস্তাক। এক সময়ের মুরগীর বিক্রেতা মোস্তাক এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। মোস্তাক নিজেই কক্সবাজারের রামু ও উখিয়া থেকে প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে থাকেন। ঢাকায় ইয়াবা পাচারের সময় মোস্তাকের সাথে থাকে আরো ৩-৪ জন সহযোগী। তারা ঢাকার মোহাম্মদপূরের বসিলা এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে। ঢাকার রায়েরবাজার এলাকার একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যৌথভাবে মোস্তাক ইয়াবা ব্যবসা করে।
ঢাকার মোহাম্মদপূর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মির জানিয়েছেন, গত ৮ অক্টোবর র?্যাব বসিলা মডেল টাউনের একটি ফ্লাটে ইয়াবা ব্যাসায়ীর আস্তানায় অভিযান চালায়। এই সময় সিন্ডিকেট প্রধান মোস্তাক ও প্রধান সহযোগি ওমর ফারুক পালিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হন নুরুল আমিন ও আবদুল করিম নামের মোস্তাকের দুই সহযোগী তাদেরকে ১০ হাজার ইয়াবা সহ আটক করা হয়। এই সময় জব্ধ করা হয় ইয়াবা ব্যবসার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় আটক দুইজন গডফাদার মোস্তাক সহ ঐ সিন্ডিকেটের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছে র‌্যাব।
র‌্যাবের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও থামেনি মোস্তাকের ইয়াবা ব্যবসা। উল্টো ৫ দিন পরে আবারও কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যায় মোস্তাক ও ওমর ফারুক।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ১৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোলাপ বাগ মাঠের পাশে র‌্যাব অভিযান চালালে ইয়াবা গডফাদার কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং এর মোস্তাক পালিয়ে যায়। তবে তার প্রধান সহযোগী ওমর ফারুক ও কামরুল ইসলাম ৭ হাজার পিস ইয়াবা সহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। এই ঘটনায়ও র‌্যাব বাদি হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেছে।
এদিকে কক্সবাজারের রামু থানার ওসি আবুল মনসুর জানিয়েছেন, মোস্তাক খুবই ধুরন্ধর। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ পুরস্কার ঘোষনা করেছে। তার বিরুদ্ধে ৭টি ইয়াবা পাচারের মামলা আছে। মোস্তাককে ধরতে পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি মনসুর। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

টেকনাফ সীমান্তে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান লুটপাট শীর্ষক সংবাদে একাংশের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ

গত ১৯ এপ্রিল টেকনাফ সীমান্তের জনপ্রিয় অনলাইন টেকনাফ টুডে এবং গত ২১এপ্রিল টিটিএন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন ...

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...