প্রকাশিত: ১৩/০২/২০১৭ ১১:২৪ এএম , আপডেট: ১৪/০২/২০১৯ ৮:২২ এএম
আকাশ

‘ভালোবাসা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি। ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে আছে কত কত পৌরাণিক উপাখ্যান। সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্রই পাওয়া যায় ভালোবাসার সন্ধান। আর তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি মানেই প্রজন্মের কাছে

আকাশ

একটি কাঙ্ক্ষিত দিন।
ভালোবাসা শব্দটি খুব সহজেই সকলের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে মিশে যায়। কেননা জন্মের পর থেকেই মানুষের বেড়ে উঠা এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই।
আর তাই ভালোবাসার দিনটিকে নিয়ে সকলের ভাবনাটাও থাকে বিশেষ। এই দিনটির শুরুর গল্পটাও বেশ রঙিন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পটভূমিটি কী আসুন খুঁজে দেখি ইতিহাসের পাতায়।
১৯৯৩ সালের দিকে আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে। সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের রীতিনীতিতে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত। দেশে ফিরে তিনিই ভালোবাসা দিবসের শুরুটি করেন।
এ নিয়ে অনেক ধরনের মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত শফিক রেহমানের চিন্তাটি নতুন প্রজন্মকে বেশি আকর্ষণ করে। সে থেকে এই আমাদের দেশে দিনটির শুরু।
বছর ঘুরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি আমাদের ভালোবাসায় রাঙিয়ে গেলেও, ভালোবাসা কিন্তু প্রতিদিনের। জীবনের গতি নির্ধারণ করে ভালোবাসা। মানুষ বেঁচে থাকে ভালোবাসায়। এমন অনেক প্রচলিত ঘটনা, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস নিয়ে।
কিন্তু আমাদের দেশে কিছু তরুণ তরুণী ভালোবাসা দিবসে পার্কে বা জঙ্গলে কিংবা বাসায় যে সব কাজ করে সেগুলা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পায়। সব চেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো সেইদিন নষ্ট হয়য় হাজারো ফুলের মত পবিত্র মেয়েদের সতীত্ব এর থেকে জম্ম নেয় হাজারো অবৈধ নবাজাতক ।
এদের মধ্যে বেশ কিছু নবজাকতকে আমরা দেখতে পায় না। হয়তো তাদের মা বাবাও তাদের দেখতে পায় না। তারা হয়য় নষ্ট করে পেলে না হই জন্মের পর ড্রেইনে নিক্ষেপ করে। এর থেকে বেশি খোলা খুলি করে বলা গণমাধ্যমে সম্ভাব না। আশা করছি আমি কি বিষয়ে কথা বলছি আপনারা বুঝতে পারছেন।
আমি বলব কি অপরাধ করেছিল ফুটফুটে এই নবজাতকরা। পৃথিবীর স্বাদ না পাওয়ার আগেই তাকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। একজন মা তার সন্তানকে ১০ মাস ১০দিন গর্ভে ধারণ করেন এবং সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তাহলে কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়। কি দরকার ১৪ ফেব্রুয়ারি এইরকম ববেহায়াপনা ভালোবাসা করার। এই নবজাতকরাও একটা মানুষ।
তাই বলছি…আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবস) একটু সাবধাণ হন। নাহলে জম্ম নিবে হাজারো নবজাকত, আর তাদের পৃথিবীর স্বাদ না পাওয়ার আগেই চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে…..।
প্রিয় আধুনিক বাবা-মা,
আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তবে তো অবশ্যই পরকালেও বিশ্বাস করেন। আপনার সন্তান মদ খাচ্ছে, পাপাচার, যৌনাচার করছে কেয়ামতের দিন আল্লাহকে কি জবাব দিবেন সে প্রশ্ন রেখে গেলাম !!
একটু পেছনে ফিরে যাই। এই ভ্যালেন্টান্স ডে এর আড়ালে চাপা পড়ে এক দুঃসহ স্মৃতি।
আমাদের দেশের তরুণরা ফাস্ট হবে, স্মার্ট হবে, বিজ্ঞান শিখবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমি এসবের পক্ষে। কিন্তু আধুনিক হতে গিয়ে পাপাচার করা, মদ্য পান করে নারী নিয়ে ফুর্তি করা এসব আমার কাছে নোংরামি। এ সব আধুনিকতা আপনার সন্তানকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিবে। তাই-এখনই সচেতন হতে হবে।
আসুন আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে স্বৈরচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করি।

লেখক
মোঃ আবছার কবির আকাশ
সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...