প্রকাশিত: ২৮/০৭/২০২০ ৭:২২ এএম

উখিয়া উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই চেষ্টা করছি মানুষের যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের প্রথম দিকের ঘটনা,একদিন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফোনে জানালেন তার এলাকায় করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে এবং এটা নিয়ে এলাকাবাসী খুবই আতংকিত। রাত তখন ৯/৯.৩০।
আমি জেনেই রওয়ানা দিলাম। গিয়ে জানতে পারলাম ওই ব্যক্তি কক্সবাজার থেকে এসেছেন এবং তার শরীর খুবই খারাপ।পরের দিন ওনার উখিয়া উপজেলার UHFPO মহোদয়ের সহযোগিতায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়।আল্লাহর অশেষ রহমতে ফলাফল নেগেটিভ আসে।
আমি যখন করোনা রেজাল্ট আসার আগ পর্যন্ত তাদের বাড়ি লকডাউন করব,তখন দেখি ঝুপড়ি ঘরে ৫ টি পরিবার থাকে।জালিয়াপালং ও হলদিয়াপালং এর মাঝামাঝি হওয়াতে প্রায়ই সরকারি সাহায্য থেকে বাদ পড়ে যায়।উপজেলা থেকে তখনই স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খাদ্য সহযোগিতা প্রদান করি। তখন বলেছিলাম সরকারি বরাদ্দ পেলে ঘর মেরামতের জন্য টিন দিব।

প্রায় ৪ মাস হয়ে গেল।আমারও আর মনে ছিল না। ওই পরিবারসমূহ আবেদন নিয়ে আসেননি।
গত শনিবার মোবাইল কোর্টে জালিয়াপালং চরপাড়া গেলে সেই পরিবারসমূহের চোখের চাহনি আমাকে চাকরি জীবিনের সবচেয়ে বড় লজ্জায় ফেলে দেয়।

আজ পরিবারসমূহকে সরকারিভাবে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও নগদ ৬০০০ করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
আপাতত কিছুটা হলেও দায়মুক্তি…..

লেখক:

নিকারুজ্জান চৌধুরী

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উখিয়া

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...