প্রকাশিত: ০৯/০৭/২০২০ ৮:১১ এএম

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খামারি আসমত আলী গাইন পালন করেছেন “বাংলার বস” ও “বাংলার সম্রাট” নামের দু’টি ষাঁড়। তিনি এ দুটো ষাঁড়ের দাম চাইছেন ৮০ লাখ টাকা!

বিশালাকার এই ষাঁড় দু’টি দেখতে উপজেলার হুরগাতি গ্রামে আসমত আলীর বাড়ি ভীড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা।

আসমত আলী গাইন জানান, “বাংলার বস”এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা ৩০ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন। আর “বাংলার সম্রাটে”র দাম ৩০ লাখ টাকা চাইলেও ব্যাপারীরা দাম বলেছে ১৫ লাখ টাকা।

তিনি দাবি করেন, চলতি বছর কোরবানিতে এর চেয়ে বড় গরু আর পাওয়া যাবে না। ঈদের আগে গরু দু’টি ঢাকায় নিতে পারলে আশানুরুপ দামেই বিক্রি করতে পারবেন।

আসমত আলী আরও জানান, ২৫ বছর ধরে তিনি গরু পালন করেন। মীম ডেইরি ফার্ম নামের খামারে তিনি গাভী পালন করে আসছেন। গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোর হাইকোর্ট মোড়ের খামারি মুকুলের কাছ থেকে “বাংলার বস” নামের গরুটিকে ১৭ লাখ টাকায় কেনেন। আর “বাংলার সম্রাট”কে কেনেন ৮ লাখ টাকায়। এরপর সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা ও নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন। গরু দু’টির দিনে দু’বার করে মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়।

“বাংলার বস” নামের গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। বর্তমানে তার ওজন ২ হাজার ৪০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। আর সম্রাটের ওজন ২ হাজার কেজি অর্থাৎ ৫০ মণ বলে জানান এই খামারি।

আসমত আলী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপারীরা সঠিক দাম বলছেন না। ফলে গরু দু’টি বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন। আশানুরুপ দাম না পেলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিক্রি করবেন।

এদিকে আসমত অভিযোগ করেন, এত বড় গরু পালন করলেও এ পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো সহযোগিতা পাননি। এমনকি কোনো দিন তারা খামারও পরিদর্শন করেনি।

অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজর সিদ্দিকী বলেন, “প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজনের সঙ্গে খামারির নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তিনি যে গরুটির ওজন ৬৫ মণ দাবি করছেন, তা অসম্ভব। আমাদের স্টাফরা পরশু দিনও গেছে ওই বাড়িতে। তারা আমাকে জানিয়েছে, গরুর ওজন সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ মণ হতে পারে।”

পাঠকের মতামত

হিমছড়ি সৈকতে স্নানে নেমে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সাগরে নিখোঁজ ২ জন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় ...