
চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের ঘটনায় সোচ্চার ছিলেন সদ্যপ্রয়াত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মৃত্যুর আগে রোহিঙ্গাদের দেখতে বেশ কয়েকবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। গেল অক্টোবর মাসের শেষে ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তিনি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী তার সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৪ কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে সেই সময় জোর দাবি জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক এ মেয়র।
গত ৩১ অক্টোবর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তার চশমাহিলস্থ বাসভবনে মহিউদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমিতে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট সেনা অভিযানের পর থেকে সহিংসতার কারণে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসছে মুসলিম রোহিঙ্গারা। এ পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজায় লাখো মানুষ
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে তাকে জানানো হয় গার্ড অব অনার।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়।
এর আগে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বন্দরনগরীর রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
বিকাল ৩টায় নগরীর কোতোয়ালির দারুল ফজল মার্কেটে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রথম দফায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন চট্টলবীরখ্যাত এ নেতা।
সেখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কিন্তু দলীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত ভিড় বেড়ে যাওয়ায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে। সেখানে দ্বিতীয় দফায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।
পাঠকের মতামত