প্রকাশিত: ২৬/০৪/২০২০ ১১:১৩ এএম

কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে গড়ে তোলা ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারকে কক্সবাজার জেলা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন থেকে জেলায় করোনা আক্রান্ত সব রোগীকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। যে কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনকে ইতোমধ্যে রামু হাসপাতালের আইসোলেশান সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। অপর তিনজনের চিকিৎসা চলছে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসানকে আহ্বায়ক, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়াকে সদস্য সচিব এবং অপর ছয় উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। অার জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি হাসপাতালটি সার্বিক অবস্থা তদারকি করবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে করোনা ভাইরাস পজেটিভ সব রোগীকে প্রাথমিকভাবে এ সেন্টারে রাখা হবে। তবে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।
php glass

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, গত ২৪ এপ্রিল কক্সবাজার সদরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর টেকনাফে তিনজন, কক্সবাজার পৌরসভার আরও একজনসহ মোট পাঁচজনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মহেশখালীতে নতুন করে আক্রান্ত পাঁচজনকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মোট ১০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে এ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন। এদের মধ্যে প্রথম রোগীটি ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসাসেবা চলছে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে এ তিন করোনা রোগী মহেশখালীতে ভর্তি হওয়ায় তাদের রামুতে আনা হয়নি।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিকুছড়ি সীমান্তে মর্মান্তিক মাইন বিস্ফোরণের ...