বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা যদি আমরা চিন্তা করি, তারা কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনি। আবার অনেক ছাত্র আছে যারা শহরে পড়াশুনা করতো, তারা এখন গ্রামে চলে গেছে। অর্থনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে তাদেরও চলে যেতে হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা কিন্তু অনলাইনের সুবিধাটা পাচ্ছে না। তাছাড়া সিলেবাসও কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান শেষ করতে পারেনি।
শিক্ষা বোর্ড বলছে, নির্বাচনী পরীক্ষা কিভাবে হবে সেটি নিয়ে তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি হবে। এই পরিস্থিতিতে সিলেবাস শেষ না করে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর কোন সম্ভাবনা নেই।
এবিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত আগামী এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না। এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখ থেকে নিয়ে আসছি গত ১০ বছর যাবত। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ গত সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত ছুটি। ফলে এটি নিয়ে আমাদেরকে আরো চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত না। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় সিলেবাস বা বিষয় কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এবছর খুলবে কিনা তা নিয়েও রয়ে গেছে সংশয়। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
পাঠকের মতামত