প্রকাশিত: ১০/০৮/২০১৭ ৭:৫৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৬ পিএম

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::
দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার হার থেকে পিছিয়ে পড়ে আছে সীমান্ত নগরী এই টেকনাফ উপজেলা। এর কারন মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এই এলাকা বিভিন্ন প্রকার মাদক ও রোহিঙ্গাদের আগ্রাসনের শিকার।

এদিকে টেকনাফের শিক্ষার মান ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশের হার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে এই উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতার অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইদানিং টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল চলাকালীন শ্রেনী কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

এতে লেখা পড়া অবনতি হচ্ছে দিনের পর দিন। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ব্যবহার না করার জন্য কঠোর ভুমিকা হাতে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৪ মাস ধরে তাদেরকে এই সর্তকতা ও নোর্টিশ জারি করে আসছে শিক্ষকরা।

কিন্তু ছাত্ররা শিক্ষকদের কথা না মেনে নিয়মিত ক্লাস রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার অব্যাহত রাখে। অবশেষে আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মো: আলম বাহাদুরের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকরা ৮ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রদের কাছ থেকে প্রায় ৪০টি ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করে ভেঙ্গে পেলে।

শিক্ষার মান বাড়াতে কঠোর ভুমিকা হাতে নিয়েছে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

বিদ্যালয়ের এই মহত উদ্যোগটি টেকনাফের সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এবং স্কুল পরিচালনা কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে টেকনাফের সুশীল সমাজ।

এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ আলম বাহাদুর ও প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন জানান, স্কুল চলাকালীন ছাত্ররা দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আসছে।

তাদেরকে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে বিভিন্ন কৌশলে সতর্ক বানী দিয়ে আসছে শিক্ষকরা। অথচ ছাত্রদের দিন দিন এই অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং শ্রেনী কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোযোগীতার ফলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী এই কঠোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

এদিকে বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তে অভিভাবকসহ সর্বমহল সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক-পরিচালনা কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অভিভাবক কাইছার পারভেজ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমি সাধুবাদ জানাই। পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকগন চাইলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় পরপর তিন ছেলেকে হত্যা, মায়ের কান্না থামানোর কেউ নেই

আব্দুল কুদ্দুস,কক্সবাজার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম মনখালী। ...

টেকনাফের রঙ্গীখালী পাহাড়ে বিজিবির অভিযান: বিপুল অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, ...