ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৬/১০/২০২৫ ১১:৪০ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং এলাকায় আরাকান আর্মি (এএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-র মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক আরসা সদস্য বাংলাদেশের উখিয়ার ১২ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

 

সংঘর্ষের সময় তার সঙ্গে থাকা আরও একজন সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন বলে একটি সুত্র জানিয়েছেন।

 

 

গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমারের নাইক্ষনদিয়া-বুচিডং সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক আরসা সদস্য মো: এনামুল হাসান(২৬)।গুরুতর আহত অবস্থায় উখিয়ার ১২ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৪ ব্লকে আশ্রয় নেন। তান

 

 

এফসিএন নম্বর ১৯৬৫৩৩। বর্তমানে ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক আরসা সদস্য, আজিজুল হক (৩২), পালানোর সময় নাফ নদীতে নিখোঁজ হন বলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

 

 

স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতাদের বরাতে জানা যায়, এনামুল বর্তমানে ক্যাম্প-১২-তে তাঁর নিজ সেল্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

 

 

ক্যাম্প-১২-তে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

 

এদিকে ক্যাম্প সংলগ্ন একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের বুচিডং অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে আরাকান আর্মি (এএ) এবং আরসা-র মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এনামুল সেই সংঘর্ষে অংশ নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার পর থেকে মিয়ানমারে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসা এবং স্থানীয় অন্যান্য বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। এর প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার ওপরও পড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে যাতে কোনো সশস্ত্র ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত