
নিজস্ব প্রতিবেদক::
“একজনের জীবদ্দশায় শতবার্ষিকী উদযাপন করা একটি বিরল সুযোগ এবং আমরা সবাই ভাগ্যবান যে সে সুযোগটি আমরা পেয়েছি। সেভ দ্য চিলড্রেনের মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করাও একটি দারুণ অভিজ্ঞতা”, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহাজান আলি সেভ দ্য চিলড্রেনের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের একটি স্থানীয় হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেন রোহিঙ্গা রেসপন্স টিম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ইন্টার সেক্টর কোওর্ডিনেশন গ্রুপের সিনিয়র কোওর্ডিনেটর নিকোল এপটিং, ওয়াশ সেক্টরের সিনিয়র কোওর্ডিনেটর বিল ফেলো এবং ইকোর টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কো মেনাস্ট্রিনা।
“রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার, সহযোগী সংস্থা, দাতা এবং জনগণ একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গা শিশুদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শিশুদের সেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত”, বলেন সেভ দ্য চিলড্রেন রোহিঙ্গা রেসপন্সের টিম লিডার ডেভিড স্কিনার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহিন চৌধুরী। রোহিঙ্গা শিশুদের হস্তশিল্প এবং অঙ্কন প্রদর্শনীও এই উদযাপনের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল। শেষ পর্বে ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরে ১৯১৯ সালে এগলেন্টাইন জেব জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার অভুক্ত শিশুদের সাহাযার্থে সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিষ্ঠা করেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ২০১৭ সালের অগাস্টে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহাযার্থে এগিয়ে আসা অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংগঠনটি এ পর্যন্ত ৪,৪৩,৫৬৫ শিশুসহ ৭,৯৩,২৫৭ রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে সাহায্য পৌঁছেছে।
পাঠকের মতামত