প্রকাশিত: ১২/০৪/২০১৭ ৭:৫৮ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসীরা। এদেশের জিডিপির ১৩ ভাগের জোগান দিচ্ছে তাঁরা। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশের নাগরিক বিশে^র বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে । তাঁদের পাঠানো রেমিটেন্সে শক্তিশালী হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।imo-2

বর্তমানে এদেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়া মানুষের অধিকাংশই নি¤œ বিত্ত।  তিনভাবে তাঁরা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে বেছে নিচ্ছে। নিজ এলাকায় কর্ম না থাকার কারণে ৪২ দশমিক ৯ ভাগ, নিকটস্থ এলাকায় কাজ না থাকার কারণে ২২.২ ভাগ এবংঅন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বেশি আয়ের আশায় ৩৪ দশমিক ৯ ভাগ মানুষ অভিবাসীর তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করছে। আর সবকিছুর মূলে রয়েছে আর্থনীতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।

১১ এপ্রিল সকালে কক্সবাজারে কর্মরত সংবাদকর্মীদের এক ফলো আপ ওয়ার্কশপে এই তথ্য জানানো হয়। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপের সূত্র ধরে ফলোআপ ওয়ার্কসপটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কক্সবাজার সাব-অফিস।

শহরের একটি তারকামানের হোটেলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপ পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আবদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল রাষ্ট্র। তারপরও আমরা তিন লাখের অধিক অভিবাসীকে ধারণ করছি। অভিবাসনে বাধ্য করা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করছে আইওএম। একটি আন্ত-রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেব আইওএম কে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও করা হবে।”

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আইওএম’র ডেপুটি চিফ অব মিশন আবুসত্তার ইসভ, কক্সবাজার সাব-অফিস প্রধান সংযুক্তা সাহানি, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন আইওএম’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সৈকত বিশ্বাস।

আলোচনা সভা পরবর্তী ওয়ার্কশপে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সাতশো কোটি মানুষ। তাঁদের মধ্যে প্রতি সাত জনে এক জন অভিবাসী। অনেকেই নিজ দেশের মধ্যে ঠিকানা পরিবর্তন করছেন। আবার অনেকেই বিদেশে গিয়ে অভিবাসীর তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন।

যদিও বর্তমান বিশে^র অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাধ্য হয়েই অভিবাসনকে বেছে নিয়েছেন। মায়ানমারের রোহিঙ্গা এবং সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা রয়েছেন এই তালিকায়। নিজ দেশের সরকারের দমন-পীড়ন এবং সৃষ্ট যুদ্ধের কারণেই উল্লিখিত দেশগুলোর মানুষ অভিবাসনে বাধ্য হচ্ছে।

এই কারণে বর্তমান সময়ে বিশ্বের অভিবাসনকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় না। বরং অভিবাসনকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মনে করা হচ্ছে। অবস্থানরত দেশের  এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা পর্যন্ত একজন অভিবাসী কখনোই অবৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন না।

আলোচনা সভায় কক্সবাজারের প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার ৩৫ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

জামিনে মুক্তি পেলেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, গ্রামে আনন্দের বন্যা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার ...

কক্সবাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প থেকে ৪৪০৯ জনের নাম বাতিল

কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে (খুরুশকুল) পুনর্বাসনের চার হাজার ৪০৯ জনের তালিকা বাতিল করা হয়েছে। ...