প্রকাশিত: ২৯/০৭/২০১৯ ১০:০১ এএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া::
উখিয়ার ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে মালামাল রাতের আধাঁরে ট্রাক যোগে গোপঁনে মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনার দু’মাসেও তদন্তের আলোর মুখ দেখেনি। ৪ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটি’র কার্যক্রম ধীর গতি নিয়ে সচেতন অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের নির্মাণ সামগ্রী সহ বিভিন্ন মালামাল ট্রাক যোগে মালামাল সরানোর ঘটনা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিক আহমদ সওদাগরের সভাপতিত্বে বিগত কমিটির সভায় শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয়ের মালামাল গোপনে ট্রাক যোগে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। পরে উক্ত বিষয় নিয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। পরিচলানা কমিটির সদস্য শাহ আলমকে প্রধান করে দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের ও মাস্টার পরিমল বড়–য়াকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়। সঠিক ঘটনা উদঘাটন করে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রির্পোট পেশ করার জন্য সভায় সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ভালুকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অতিসম্প্রতি কাউকে না জানিয়ে ট্রাক যোগে (মিনি ট্রাক) রাতের আধাঁরে বিভিন্ন মালামাল ভর্তি করে নিযে যায়। ওই সময় মালামাল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের নজরে আসলে দ্রুত এলাকায় জানা জানি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিচালনা কমিটির সদস্যগন বলেন, এর আগেও কম দাম দিয়ে নামে মাত্র কোটেশন দেখিয়ে মালামাল ক্রয় করেছিল ওই শিক্ষক। উক্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ওই দিন রাতের আধাঁরে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া কি ধরণের মালামাল ও কি পরিমাণ হতে পারে তা এখনো কেউ বলতে পারছে না।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক মো: শাহ্ আলম সওদাগরের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে অপরাপর সদস্যরাও রাতের আধাঁরে মালামাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উদঘাটনে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের প্রকাশ্যে ও গোপনে জবানবন্দি গ্রহন করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নানা সীমাবদ্ধতা ও অসহযোগিতার কারণে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানে একটু বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না বলে জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিবীড় সর্ম্পক রয়েছে। তারা একে অপরের নিকটতম আত্মীয়।
সচেতন নাগরিক সমাজ সরজমিন তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি শিক্ষা) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের নিকট দাবি জানান।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় ১ মাসে ৬ খুন

কক্সবাজারের উখিয়ায় গত এক মাসে ছয়টি নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দুর্বল ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে সিএনজি চালক নিহত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলার রশিদনগর পানিরছড়া এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. জাহেদ ...

উখিয়ায় বিষপানে নারীর মৃত্যু

উখিয়ার শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা এক নারী পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যার করেছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) ...

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখতে আসছে সরকারের সব সংস্থার প্রতিনিধি

বিশেষ প্রতিবেদক :: পর্যটন নগরীতে প্রস্তাবিত কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখনও টার্মিনাল ভবন ...

উখিয়ায় হত্যার পর স্ত্রী’র ম’র’দে’হ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী

কক্সবাজারের উখিয়ায় স্ত্রী’কে হত্যার পর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়েছে স্বামী। রবিবার (২৭ এপ্রিল) ...