প্রকাশিত: ২২/০২/২০১৯ ১১:৪১ এএম

নিউজ ডেস্ক::
পূর্বনির্ধারিত থাকলেও জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। সামনের সপ্তাহে জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীর।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া বেসামরিক সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চিরও সমালোচনা করে বলা হয়েছে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ ঠেকাতে নিজের নৈতিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।রোহিঙ্গা নিপীড়ন প্রশ্নে নীরব ভূমিকার কারণে শুরু থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছেন সু চি। বার বারই উঠেছে তার নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি। তবে সু চি’র নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারে রাজি নয় নোবেল ফাউন্ডেশন। তবে এর মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের দেওয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে।

জাতিসংঘের সম্মেলনে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একজন মন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন। অথচ বুধবার সকাল ১১টায় বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিলো। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাতেরও সম্ভাবনা ছিলো তার।

তবে পরবর্তীতে সম্মেলনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কিয়াও তিনের নাম প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেন, সু চি সম্মেলনে যোগ দিবেন এমন তথ্য নেই তাদের কাছে। কোনও মন্তব্য করেননি মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তায়।

রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে সু চির। মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূতও নিষিদ্ধ করে সরকার। এছাড়া মিয়ানমারে জাতিসংঘের আবাসন বিষয়ক সমন্বয়কও নিয়োগ দিতে দেয়নি তারা। এছাড়া নতুন এই সংকটের পর পশ্চিমা দেশগুলোতে সফরও কম করছেন।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...