
কক্সবাজারের টেকনাফে চাকরির প্রলোভনে ডেকে এনে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সুইচ গিয়ার চাকু, লাঠি, লোহার রড, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং নিহত ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইয়াছিন ওরফে সাইফুল (৩২), মো. ইয়াছিন ওরফে কালু (১৮) ও সাহাব উদ্দিন (৩১)।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো কিংবা খামারে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সহজ-সরল যুবকদের অপহরণ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটির সুজন চাকমাকে চাকরির প্রলোভনে টেকনাফে ডেকে আনে চক্রটি। গত ৩০ আগস্ট সকালে শাপলা চত্বর থেকে তাকে অটোরিকশায় করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নির্যাতনে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে ৩১ আগস্ট রাতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় শাপলা চত্বরে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরদিন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজন চাকমা।
এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা তৎপরতায় টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়া থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণচক্রের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। র্যাব জানায়, এ চক্রের মূল হোতা আয়াত উল্লাহ এখনো পলাতক।
পাঠকের মতামত