প্রকাশিত: ০৯/১১/২০১৭ ৯:৫০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:২৩ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিতব্য অ্যাপেক সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন। শুক্রবার দুই নেতার এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

শান্তিতে নোবেল জয়ী এবং কানাডার সম্মানসূচক নাগরিক সু চি। আগস্টের শেষে রাখাইনে শুরু হওয়া সহিংসতায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছেন সু চি। চলমান এই সংকটে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছিল।

আগস্টে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার ট্রুডো ও সু চির এটিই প্রথম বৈঠক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার কর্মকর্তারা জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়নে অটোয়া সু চিকে দায়ী করতে চায় না। কারণ সু চির আন্তর্জাতিক খ্যাতি বিনষ্ট করতে চায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

যদিও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিসটিয়া ফ্রিল্যান্ড রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ এনেছেন। যা এই সংকটে জাতিসংঘেরও অবস্থান।

রোহিঙ্গা সংকটে কানাডার বিশেষ দূত বব রে সম্প্রতি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। অ্যাপেক নেতাদের সম্মেলনে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন। সংকট নিরসনে বব রে ২১ সদস্যের অ্যাপেক সম্মেলনে অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

এর আগে ট্রুডো রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সু চির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি সু চির সঙ্গে কথা বলেন ও একটি চিঠি লিখেন। চিঠিতে তিনি ‘নির্দোষ মানুষের জীবন’ রক্ষা করা মিয়ানমারের উচিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও কানাডার প্রত্যাশা বলে উল্লেখ করেন ট্রুডো।

রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর সু চির সম্মানজনক নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দাবির মুখে চাপে পড়ে ট্রুডোর লিবারেল সরকার।

ট্রুডো দুইদিনের সরকারি সফরে ভিয়েতনামে অবস্থান করছেন। শুক্রবার তিনি অ্যাপেক সম্মেলনে যোগ দিতে ডানাং পৌঁছাবেন। এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত হবেন। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট কানাডা।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...