ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১০/০৩/২০২৪ ৯:৫৩ এএম

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়কের কাজ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ১ হাজার ৩৬কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ২২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের জীবনে এসেছে গতি, ব্যবসাবাণিজ্য বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তির ইচ্ছায় ২০১৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের সূচনা হয়। তিন পার্বত্য জেলায় ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করবে সড়ক বিভাগ। পুরো প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৭, ২০ এবং এডহক ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন।

প্রকল্পটির প্রথম ধাপে ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আরও ৪৭ কিলোমটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে। এ বছরের শেষ দিকে প্রকল্পের প্রথম ধাপের বাকী ৫০ কিলোমিটার সড়ক ইটের সলিং করে রাখা হবে। যা আগামী অর্থ বছরে সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে কাজ শেষ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। এই সীমান্ত সড়কটি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থেকে শুরু হয়ে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা হয়ে রামগড় উপজেলা সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে আরও ১০ বছর সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাপ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সড়কটি নির্মিত হওয়ায় সাত দিনের পথ এখন দুই ঘণ্টায় যেতে পারছি।

একই এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সড়ক হওয়ার আগে আমাদের ব্যবসাবাণিজ্য করতে অনেক কষ্ট হতো। কৃষিজ পণ্য নিয়ে বিলাইছড়ি তক্তনালা বাজারে আসতে আমাদের দু’দিন লাগত। সড়ক নির্মিত হওয়ায় আমরা রাজস্থলী উপজেলায় দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। এছাড়াও সড়কের পাশে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমি উল্লাহ নুরী বলেন, দুর্গম এলাকায় কাজ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এখানে কাজের মান বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীকে দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।

সচিব আরও বলেন, সড়ক নির্মিত হলে এখানকার মানুষের ভাগ্যর দ্বার খুলে যাবে। নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে এখানে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, যোগাযোগ ও ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নতি, মাদক, মানব, অবৈধ অস্ত্রপাচার রোধ, কৃষি পণ্য পরিবহন সুবিধা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশি-বিদেশি পর্যটক বৃদ্ধি, শিল্পকারখানা স্থাপন, আত্মসামাজিক উন্নতিসহ পুরো সীমান্ত অঞ্চলে সরকার নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্তে সড়ক নির্মাণ করছে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...