প্রকাশিত: ১৬/০১/২০১৭ ৮:৪৭ এএম

নিউজ ডেস্ক::
বেশি আলো আর বিদ্যুৎ খচরও কম হওয়ায় সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে লোকজন ঝুকছে এনার্জি বাল্বের দিকে। তবে সাধারণ বাল্ববের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় অনেকের ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারছেনা এনার্জি বাল্ব।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে কিছু অসাধু সিন্ডিকেট। তারা শহর ও গ্রামে টমটম এবং সিএনজি নিয়ে রীতিমত মাইকিং করে বিক্রি করছে স্বল্পমূল্যের নি¤œমানের এনার্জি বাল্ব। তারা লোকজনকে প্রলোবন দিচ্ছে ৩শ টাকা দামের এনার্জি বাল্ব বিক্রি করছে মাত্র ১শ টাকায়। সাথে ৬ মাসের গেরান্টি কার্ডও থাকছে। সস্তা পেয়ে অনেকে এই নি¤œ মানের এনার্জি বাল্ব ক্রয় করছে। আর এসব বাল্ব ক’দিন যেতে না যেতেই আলো কমে যায়, টিউব কালো হয়ে যায় এবং নষ্ট হয়ে যায়। আর গেরান্টি কার্ড দেওয়া সেই ভ্রাম্যমান এনার্জি বাল্ব বিক্রিতাকেও পাওয়া যায়না। এছাড়া অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এসব ভ্রাম্যমান বিক্রেতার কাছ থেকে কমদামী বাল্ব কিনে দামী বাল্বের সাথে চালিয়ে দিচ্ছে। আর চরমভাবে প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা।
শহরের বেশকিছু ইলেক্ট্রনিক্স’এর দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানী’র ৩০-৩২ ওয়ার্ডের এনার্জি বাল্ব বিক্রি করছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। ২০-১৫ ওয়ার্ডের বাল্ব বিক্রি করছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। এসব বাল্বে আলো বেশি, বিদ্যুৎ খরচ কম ও টিকে বেশিদিন। সাথে থাকে ১ বছরের গেরান্টি কার্ড।
অন্যদিকে দেখা যায়, শহর ও গ্রামে টমটম এবং সিএনজি নিয়ে মাইকিং করে বিক্রি করছে ১শ টাকা দামের এনার্জি বাল্ব। তারাও ৬ মাসের গেরান্টিও দিচ্ছে। যদিও তাদের দেওয়া গেরান্টি কার্ড আর ইলেক্ট্রনিক্স’এর দোকানে দেওয়া গেরান্টি কার্ডের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। যেখানে থাকেনা সিলভার বা গুলডেন রংএর স্টিকার। তারা মাইকিং করার সময় বলে, ৩ শ টাকা দামের এনার্জি বাল্ব বিক্রি করছে মাত্র ১শ টাকায়। সুযোগ স্বল্প সময়ের জন্য।
খবর নিয়ে জানা যায়, এসব ভ্রাম্যমান এনার্জি বাল্ব বিক্রেতারা ৬ মাস’ত দুরের কথা এক এলাকায় ১ সপ্তাহের বেশি থাকে না। যার ফলে বাল্ব নষ্ট হয়ে গেলেও আর ওই গেরান্টি কার্ড আর কাজে লাগেনা। এছাড়া ওসব গেরান্টি কার্ডনিয়েও লোকমুখে নানা কথা রয়েছে। তারা বলছে ওই কার্ডগুলো কম্পিউটার থেকে ছাপানো হয়েছে।
সস্তা এই বাল্বগুলোর ফলাফল খুবই খারাপ বলে জানান ভোক্তভূগীরা। তারা বলছে, এসব বাল্বে কয়েকদিনের মধ্যেই আস্তে আস্তে আলো কমে যায়। টিউব কালো হয়ে যায় এবং চুড়ান্তভাবে ১-২ সপ্তাহের বেশি টিকেনা।
শহরের বাহারছড়ার নাছির আহম্মদ নামে এক যুবক জানান, তিনি সস্তা পেয়ে ভ্রাম্যমান এনার্জি বাল্ব ক্রেতা থেকে ৪ টি বাল্ব নিয়েছেন। এই ৪ টি বাল্ব’ই নষ্ট হয়ে গিয়েছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। এসব নষ্ট হওয়ার আগে আস্তে আস্তে আলো কমে যায়। টিউব কালো হয়ে যায়। পরে দোকান থেকে আসল এনার্জি বাল্ব কিনে রক্ষা পায়।
শহরের খুরুশকুল সড়কের ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল বিক্রির প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স’এর মালিক আহসান উদ্দিন আহমদ জানান, এসব অসাধু সিন্ডিকেটের কারনে শুধু লোকজন ঠকছে না পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বিক্রি কমে গেছে এই নি¤œ মানের এনার্জি বাল্বে’র কারনে। এই সিন্ডিকেট ছাড়াও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা ভ্রাম্যমান বিক্রেতা থেকে বাল্ব ক্রয় করে ভাল ও বেশি দামের বাল্বের সাথে মিলিয়ে বিক্রি করছে। এতে ঠকছে ক্রেতারা। আর তাদের কারনে সৎ ব্যবসায়ীরাও বদনামের ভাগি হচ্ছে।
এই নি¤œ মানের বাল্ব কোথা থেকে আনে এমন প্রশ্নে এনার্জি বাল্বের একটি কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজান মোঃ রহিম জানান, এসব মাল আসে চায়না থেকে। তারা ভাল মালের জন্য ভাল দাম। আর নি¤œ মানের বাল্বের জন্য নি¤œ দামে বিক্রি করছে। এছাড়া এই নি¤œ মানের বাল্ব আসে দালালদের মাধ্যমে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে।
আইটি বিশেষজ্ঞ সুমন শর্মা জানান, কমদাম দেখে এসব নি¤œ মানের লাইট ক্রয় করার কোন অর্থ নেই। এসব বাল্বে আলো কম এবং দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই একটু দাম বেশি হলেও ভাল এনার্জি বাল্ব ক্রয় করা উচিত। যাতে করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং আলোও ভাল পায়। দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...