প্রকাশিত: ২০/১২/২০২১ ৫:২৭ পিএম

মুহিববুল্লাহ মুহিব::
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, মহামতি বুদ্ধ ২ হাজার ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ভারতের কুশী নগরে দেহত্যাগ করেছিলেন যে শয্যায়, সেই নকশাতেই নির্মাণ করা হচ্ছে মূর্তিটি। ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার মহাপরিনির্বাণ মূর্তিটি এশিয়াতেও হবে অন্যতম বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি।

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের বৃহত্তম ১৩০ ফুটের বুদ্ধমূর্তির নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। উদ্বোধন করা হতে পারে আগামী বছর।

উখিয়ার পাতাবাড়ী আনন্দভবন বৌদ্ধবিহারের মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের এ মহাপরিনির্বাণ মূর্তি। এই স্থাপনা নতুন পর্যটন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা স্থানীয়দের।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, মহামতি বুদ্ধ ২ হাজার ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ভারতের কুশী নগরে দেহত্যাগ করেছিলেন যে শয্যায়, সেই নকশাতেই নির্মাণ করা হচ্ছে মূর্তিটি। ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার মহাপরিনির্বাণ মূর্তিটি এশিয়াতেও হবে অন্যতম বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি।

২০১৭ সালে শুরু হওয়া নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষের পথে। রংসহ বাকি কাজ শেষে ২০২২ সালে এটি উদ্বোধন করা হতে পারে।

স্থানীয় মিলন বড়ুয়া বলেন, ‘এটি দৃষ্টিনন্দন বুদ্ধমূর্তি। ১৩০ ফুটের এমন মূর্তি দেশে প্রথম। সঠিকভাবে মূর্তিটি উপস্থাপন করা গেলে দেশের পর্যটন খাতে ভূমিকা রাখবে এটি।’

পিকুলো বড়ুয়া বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক পূজারি, পুণ্যার্থী, পর্যটক ও দর্শনার্থীর জন্য এটি অনেক বড় পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে। আমরা যদি বিশ্বে ভালোভাবে প্রচার করতে পারি, তাহলে এটি সম্ভব।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মূর্তি নির্মিত হলে কক্সবাজারের পর্যটনে বড় ভূমিকা রাখবে। মূর্তিটি নির্মাণে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যতটুকু পারি সহযোগিতা থাকবে। আমরা চাই সরকার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করুক। তাহলে পর্যটকরা এখানে আসতে আগ্রহী হবেন।’

মূর্তিটির প্রতিষ্ঠাতা ও উখিয়ার আনন্দ ভবন বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাবোধি মহাথেরো নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। রংসহ বাকি কাজ শেষে ২০২২ সালে উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই মূর্তির পুরো কাজ শেষ করতে প্রয়োজন আরও দেড় কোটি টাকা। উদ্বোধনের পর ২০২৩ সালে এর উৎসর্গ অনুষ্ঠান করা হবে।’

নির্মাণাধীন মূর্তিটি ছাড়া কক্সবাজারের রামুর উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড় চূড়ায় রয়েছে গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট লম্বা সিংহশয্যা মূর্তি। এর দুই কিলোমিটার দূরের কেন্দ্রীয় সীমাবিহারও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।

মূলত রামু সহিংসতার পর সরকার এসব স্থাপনা নতুন করে গড়ে তুলেছে। নিউজ বাংলা

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা

মিয়ানমারের সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার ...

কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, দায় নিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

কক্সবাজার শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আফসানা হোসেন শীলা নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে ...

কক্সবাজারের রেলপথ অনিরাপদ

প্রায় পৌনে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। ...

বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ...