প্রকাশিত: ০৪/০৩/২০২০ ৮:২৮ পিএম , আপডেট: ০৪/০৩/২০২০ ৮:৩২ পিএম

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে চলতি বছরে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। যা প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ। গণহত্যা থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং তাদের কারণে সঙ্কটে পড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য এ টাকা ব্যয় করা হবে।

বুধবার রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় যিনুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সদর দফতরে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালের যৌথ কর্মপরিকল্পনা (জেআরপি) ঘোষণা করা হয়। এতে রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের তহবিল গঠনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ।

এর পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মানবিক সহায়তার ঘোষণা এলো। রবার্ট মিলার বলেছেন, জাতিসংঘ ও সহযোগী সংস্থাগুলো যে তহবিল গঠন করছে, এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক সহায়তা দেওয়ায় তার দেশ শীর্ষে রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত সহিংসতা ও সেনাবাহির্নর হামলার পর থেকে প্রতিবছরই যুক্তরাষ্ট্র এ অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য নেওয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন কর্মসূচির ব্যয় বাবদ। ২০২০ সালের জন্য ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেওয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮২ কোটি ডলার।

রাষ্ট্রদূত জানান, নতুন সহায়তা ঘোষণাসহ যুক্তরাষ্ট্রের জোগানো তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জরুরি প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় অধিবাসীদেরও সহায়তা করবে। উদারভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে যাতে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌঁছানো অব্যাহত থাকে যুক্তরাষ্ট্র তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তবে রবার্ট মিলার আবারও স্মরণ করিয়ে দেন-যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে না। অন্যান্য দাতাদেশগুলোকেও সহায়তা অব্যহত রাখতে হবে। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠি- উভয় সম্প্রদায়ের অব্যহত সহায়তা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের সচেতন সম্মতির ভিত্তিতে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান অব্যাহত রাখতে হবে।

পাঠকের মতামত

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...