প্রকাশিত: ১৩/০৫/২০১৮ ৭:৫৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০২ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক:;
২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে মিলিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় সভা আগামী ১৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে থাকবেন তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরু হবে।’

বৈঠকের বিষয়ে সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ওপরে জোর দেবো।’

নতুন তালিকা হস্তান্তর করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং আমরা এবারও একটি তালিকা হস্তান্তর করতে চাই।’

আগের পাঠানো আট হাজার ৩২ জনের তালিকার কী অবস্থা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এর মধ্যে প্রায় এক হাজার জনের বিষয়ে তারা নিশ্চিত করেছে।’

প্রসঙ্গত, গত শতকের ৬০ এর দশকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করলে রোহিঙ্গাদের ওপরে নির্যাতন ও বৈষম্যের খড়গ নেমে আসে। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৭৮ সালে প্রথম দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসে। এরপর ১৯৯২ সালে মিয়ানমারে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ২০১২ সালে জাতিগত দাঙ্গার অজুহাতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

২০১৬ সালে রাখাইনে পুলিশের চৌকিতে আক্রমণের অজুহাতে আবারও নতুন করে নির্যাতন শুরু হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০১৭ সালেও।

গত ২৫ আগস্ট থেকে এপর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগে থেকে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছিল।

পাঠকের মতামত

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তিনটি শর্ত হামাসের

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে ...