প্রকাশিত: ২০/০৬/২০১৮ ১২:১৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৪৩ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
বুধবার (২০ জুন) ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, দুঃখজনকভাবে আজ বিশ্বব্যাপী ৬ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের শিকার। কঠিন এ সংকটের সময় পাড়ি দেওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজন সহৃদয় মানুষের আন্তরিক সহায়তা।

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক আর্টিকেলে মার্শা বার্নিকাট একথা বলেন।

তিনি বলেন, দিনটি আমাদের বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ ও তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার সম্ভাব্য উপায়গুলোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি এড়ানোর কৌশল নিয়ে ভাবার সুযোগ করে দেয়। এ বছরের বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশ যেন আশা ও উদ্দীপনার এক আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বার্মায় (মিয়ানমার) চলা জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে প্রাণে বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বার্মার সঙ্গে কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সুরক্ষা ও জবাবদিহিভিত্তিক একটি নীতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের পাশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্যাতিত মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং নৃশংসতা ও অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবগুলো উপায় খতিয়ে দেখতে আমরা বন্ধু দেশ ও সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছি।

বার্নিকাট বলেন, উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা বার্মার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ সংকট নিরসনে একটি গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো অব্যাহত রেখেছি। এজন্য আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবিলম্বে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা ও মিডিয়ার অবাধ প্রবেশের সুযোগের নিশ্চয়তা প্রয়োজন। এছাড়া স্বেচ্ছায় নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরতে ইচ্ছুক মানুষ যাতে তা নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে করতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের মূল কারণ চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। আমরা একইসঙ্গে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাতে চাই যেন কক্সবাজারে শরণার্থীদের প্রাণহানি ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে বর্ষায় ঝুঁকির মুখে থাকা বা প্রবল বর্ষণের কারণে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য যেন বাড়তি নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া এ সংকটে সরাসরি সহায়তা হিসেবে বার্মার ভেতরে বাস্তুচ্যুত মানুষ, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দেওয়া এলাকাগুলোতে প্রায় ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে। এ সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি এলাকাগুলোর মানুষজনকে বাড়তি সহায়তা দেওয়া নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের জাতিসংঘ সহযোগীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

বার্নিকাট বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য যেসব দেশ শরণার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা শরণার্থীদের গ্রহণ ও সহায়তা করতে গিয়ে যে চাপ পড়ে তার সমাধান খুঁজতে আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাবো। এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেই হয়তো আমরা কোন এক বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা কমে আসার বিষয়টি উদযাপন করতে পারবো।

পাঠকের মতামত

কঠোর নির্দেশনার পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ছাড়ছে না ভোটের মাঠ

সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে কঠোর নির্দেশনা ...

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফের ...