প্রকাশিত: ০৭/০৮/২০১৭ ৮:০৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৩৫ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন চালানোর অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পায়নি সরকারের নিযুক্ত কমিশন। জাতিসংঘ গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল।

একটি স্টেশনে রোহিঙ্গাদের হামলা চালানোর অভিযোগে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর চালানো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় জাতিসংঘ তদন্ত করতে চাইলে মিয়ানমার সরকার অনুমতি দেয়নি। ঘটনার বিষয়ে সরকার নিজেই তদন্ত করবে জানিয়ে একটি কমিশন গঠন করে। রবিবার কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাখাইনে সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত ধর্ষণ এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর নিম্নপদস্থ কোনো কোনো সদস্য মাত্রাতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। কিছু ঘটনা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্য সব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।

কমিশন তার প্রতিবেদনে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেছে, রাখাইন রাজ্যে ওই সময় যা ঘটেছে সেটা ‘খুব সম্ভবত’ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ছিল বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ যাওয়া ২০৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগ এনেছিল।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, শিশুদের হত্যা এবং পুরুষদের নির্যাতনের অভিযোগ করেছিল। কিন্তু কমিশন দেখেছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সামঞ্জস্যের অভাব রয়েছে এবং সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের চালানো হামলার গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে জাতিসংঘ দলের পরিদর্শনে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও মিয়ানমার সরকারের উপদেষ্টা অং সান সু চি। তিনি বলেন, সংঘাতের বিষয়ে তদন্তের জন্য সরকারের কমিশনই যথেষ্ট।

গত সপ্তাহে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় সাত বৌদ্ধ নাগরিকের মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর সেনাবাহিনী আবার রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে তল্লাশিতে নেমেছে। শুক্রবার তল্লাশির সময় অন্তত ৫০ বার সতর্কমূলক গুলি ছোড়া হয়। সূত্র : এএফপি।

পাঠকের মতামত