প্রকাশিত: ০৫/০৭/২০১৮ ৭:৪০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:০৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এক রোহিঙ্গা নারীকে সৌদি আরবে পাচারচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের আদালতে। মামলার আসামি একজন আইনজীবী, তাঁর স্ত্রীসহ পাঁচজন। বুধবার এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আসামিদের বিরুদ্ধে গতকাল অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, আইনজীবী, তাঁর স্ত্রীসহ আসামিরা ওই রোহিঙ্গা নারীকে সৌদি আরবে পাঠানোর আশ্বাস দেন। নারীকে তাঁর নাম ‘আকতার বানু’ পরিচয় দিতে বলা হয়। বাকি কাজ আসামিদের করার কথা ছিল। কিন্তু পাচারের দিন বিমানবন্দরে ওই নারীকে আটকে দেয় পুলিশ।

এই ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা করা হলে তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৮ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, অভিযোগ গঠনের সময় আইনজীবী জামাল ও তাঁর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অন্য তিন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি পাচারের আগে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নারী রেজিয়ার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু এলাকার কাউয়ারবিলে। তাঁকে বাংলাদেশি সাজিয়ে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এসআই মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় আইনজীবী মো. জামাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার, রেজিয়া, দালাল ফজলুল কাদের ও এনায়েত উল্লাহকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত পর্যায়ে জামাল, ইয়াছমিন ও কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

আইনজীবী জামালকে চট্টগ্রামের তত্কালীন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তখন আইনজীবীরা বিক্ষোভের পাশাপাশি আদালতে ভাঙচুর করেন। পরে অন্য আদালতে শুনানি শেষে আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রীর জামিন মঞ্জুর হয়।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...