প্রকাশিত: ১৩/১২/২০১৯ ৭:৪৭ এএম , আপডেট: ১৩/১২/২০১৯ ৮:০৬ এএম

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে শিগগিরই রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষনা করবে। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে আদালতের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাউয়ি আহম্মেদ ইউসুফ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যত শিগগির সম্ভব আদালত তার সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষকে জানিয়ে দেবে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানির তৃতীয় দিনেও মিয়ানমারের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সেদেশের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি।
তিনি বলেন,তারা বিষয়টির আন্তর্জাতিকীকরণ চান না। দেশের সামরিক আদালতেই এ সংক্রান্ত বিচারের সুযোগ চান। সুচি তার চূড়ান্ত আবেদনে বলেন,গাম্বিয়ার মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হোক।
অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও প্রত্যাখ্যান করতে বলেন তিনি।

সুচির দাবি, তাদের সরকার সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় কাজ করছেন এবং তারা তা চালিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন,আদালতের কাছে আমরা সেই সুযোগ চাই। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

মঙ্গলবার শুনানির প্রথম দিনে অং সান সুচির উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার সারাংশ তুলে ধরেন আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। তিনি বলেন, বিশ্ববিবেকের কালিমা মোচনে আর দেরি করা চলে না। বুধবার শুনানির দ্বিতীয় দিনে আদালতে সুচি তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আরও বলেন, একমাত্র এই আদালতই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে, আশা জাগাতে পারে। আইসিজে মিয়ানমারকে বলুক যে এখনই রোহিঙ্গা শিশুদের হত্যা বন্ধ করতে হবে, নৃশংসতার অবসান ঘটাতে হবে। গাম্বিয়ার এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। সূত্র : পার্সটুডে।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...