প্রকাশিত: ২১/০৪/২০১৮ ৭:৪০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
জাতিগত নিধনের মুখে এদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে এনজিওরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দিন দিন বাড়ছে এনজিও’র সংখ্যা। ক্যাম্পগুলোতে কতটি এনজিও কাজ করছে তার সঠিক তথ্য উপাত্ত কারো কাছে নেই। তবে প্রশাসনের অভিমত ১০৫টি এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব এনজিওর শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন বিদেশি নাগরিকরা। এদের অধিকাংশ ট্যুরিস্ট ভিসায় এদেশে এসে স্থায়ীভাবে চাকরি করছেন। বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, গোয়েন্দা নজরদারির অভাবে এসব এনজিওরা প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। যে কারণে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। জানা গেছে, বিভিন্ন অভিযানে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে র্যাব-৭ এর সদস্যের হাতে ৭৬ জন এনজিও কর্মকর্তা (বিদেশি নাগরিক) আটক হন। মুচলেকা নিয়ে ছাড়া পেয়ে তারা যথারীতি নিজেদের কাজ করছেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ইউনিয়ন পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এনজিওদের ওপর সরকারি ও গোয়েন্দা নজরদারি না থাকার কারণে কিছু কিছু এনজিওতে কর্মরত বিদেশিরা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা থেকে এক পরিবারের পাঁচ সদস্য মিয়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কতিপয় এনজিও’র ইন্ধন রয়েছে। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য কূটকৌশল অবলম্বন করছেন। প্রত্যাবাসন বিরোধী রোহিঙ্গাদের উত্সাহ যোগাচ্ছেন। তিনি বলেন, এসব বিদেশি নাগরিকদের আটক করে স্ব স্ব দেশে পাঠিয়ে দেওয়া না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো জটিল হতে পারে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওগুলোতে দায়িত্বরত বিদেশিদের সনাক্তকরণ ও তাদের বৈধতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রতি মাসে একটি করে এনজিও মাসিক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু ওই সভায় বিদেশিরা উপস্থিত থাকেন না। তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন।

কক্সবাজার র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সড়কপথে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ১১ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। অনুরূপ ১১ মার্চ আরো ৩৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়। তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল বুধবার সড়কপথে তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন বিদেশিকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে এসব বিদেশিদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, বিদেশি নাগরিকরা এদেশের আইনের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাশীল থাকেন সে কারণেই মাঝে মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। তিনি আরো বলেন, র্যাবের হাতে আটক সেই ১৬ বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...