প্রকাশিত: ১১/০৫/২০১৮ ১১:৫৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৫ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ঢাকা ঘোষণাকে অন্যায্য বলে মন্তব্য করেছে মিয়ানমার। ৫ ও ৬ মে ঢাকায় ওআইসির ৪৫তম এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষণায় রাখাইন পরিস্থিতি বর্ণনায় ব্যবহৃত ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ ও ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সহিংসতা’ শীর্ষক শব্দগুলোও অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল রোহিঙ্গা সংকট। বৈঠক শেষে দেয়া ৩৮ দফার ঘোষণায় চারটি ঘোষণা ছিল রোহিঙ্গা ইস্যুতে।
এসব ঘোষণায়
বলা হয়, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপরে নিরাপত্তা বাহিনীর কাঠামো-বদ্ধ সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উপুর্যপরি হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কারণে প্রতিবেশী দেশে হাজার হাজার মানুষের পালিয়ে যাওয়াকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে উল্লেখ করা হয় ওই ঘোষণায়।’
বুধবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয় ওআইসির ঘোষণায় ভারসাম্য ও নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। কারণ তা উত্তর রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আর্মির) সহিংস আক্রমণের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয় রাখাইনের বর্তমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে ওই সশস্ত্র গ্রুপটি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, খুবই অনুশোচনীয় যে ঢাকা ঘোষণায় রাখাইনের বাস্তুচ্যুত মানুষদের জরুরি প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ নেই। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও জাতিসংঘ বলছে এখনও প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত নয় মিয়ানমার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ঢাকার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় রাখাইনের টেকসই উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে কোনও ধরণের সুপারিশ করতেও ব্যর্থ হয়েছে ওআইসির ঢাকা ঘোষণা।

পাঠকের মতামত