
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা বছর শেষে এসে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে গিয়ে হুমকিতে অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা। তবে আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক তৎপরতার মুখে শর্তসাপেক্ষে তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। গঠিত হয়েছে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ২৩ জানুয়ারি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ২৫ আগস্ট থেকে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মানবিক কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়টি নজর কাড়ে সারা বিশ্বের। রোহিঙ্গা প্রশ্নে সরব হয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে কক্সবাজারের বালুখালি ও কুতুপালং-য়ে তৈরি হয় নতুন আশ্রয় শিবির। শুরু হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
আমার ছেলে-মেয়েকে মেরে ফেলেছে, স্বামীকে মেরে ফেলেছে। যুবকদের পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে তারা।
এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, আমরা রোহিঙ্গা। মিয়ানমার সরকার আমাদের রোহিঙ্গা হিসেবে মেনে নিলে ফিরে যাবো। তবে আমাদের জাতিসংঘের নিরাপত্তা দিতে হবে।
কয়েক দশক ধরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে ২৩ নভেম্বর নেপিদো-তে দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী, মিয়ানমার শুধু ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া ঠিক করবে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। তবে এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হলে এ অঞ্চল নতুন করে জঙ্গিবাদের হুমকিতে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এর আগে ১৯৯২ সালের চুক্তির আওতায় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয় মিয়ানমার। তবে পরে যাচাই প্রক্রিয়ায় জটিলতার অযুহাত দেখিয়ে বাকিদের ফেরত নেয়নি দেশটি।
পাঠকের মতামত