
নিউজ ডেস্ক :
পুলিশের কোনো সদস্য মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেছেন।
আইজিপি বলেন, মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সদস্য যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদক সমাজের মূল সমস্যা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক নির্মূল বর্তমানে পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুইটির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিন্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার নিন্দেশ দেন। এ ছাড়া থানায় আসা সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করারও তাগিদ দেন। সভায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি ড মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো মোখলেসুর রহমান,র্ যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
পাঠকের মতামত