প্রকাশিত: ০৮/০৩/২০১৮ ৮:০৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪১ এএম

ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো বিপজ্জনক সব রোগের উৎস মশাকে তাড়াতে আমরা মশার কয়েল ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে সেই রোগ তাড়াতে গিয়ে আবার ভিন্ন রোগকে স্বাগত জানায়। শান্তিতে ঘুমানোর জন্য ব্যবহার করা এই কয়েল আপনার অনেক বড় ক্ষতি করছে। একটি মশার কয়েলে ৫৭টি সিগারেটের ধূমপানের সমান ক্ষতি হয়।

ডেঙ্গু জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা। এছাড়া র‍্যাশ, বমি বমি ভাব। ম্যালেরিয়া। পি ফ্যালসিফেরাম সবচেয়ে প্রাণঘাতী। মাথায় আক্রমণ করে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এনসেফেলাইটিস। সংক্রমণের পর রোগটি কেন্দ্রীয় নার্ভাস সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে বাসা বাঁধে। মৃত্যু হতে পারে। চিকুনগুনিয়া। এডিস ইজিপটাই মশার আক্রমণে এই রোগটি হয়।

মাথাব্যথা, জ্বর, উদ্যমহীনতা,বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস। মারাত্মক ইনফেকশন। মানুষের পা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকগুণ ভারী হয়ে যায়।মশা মারতে আপনি তো আর বাড়িতে কামান দাগতে পারেন না। অগত্যা মশা মারার কয়েল। সেই কয়েল ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে ডেকে আনছেন নিজের মৃত্যু। শ্বাসকষ্ট। কাশি। ফুসফুসের সমস্যা। ফুসফুসের ক্যানসারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। কয়েলের সূক্ষ্ম গুঁড়ো শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়। বিষাক্ত সংক্রমণ।

দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়ানক ক্ষতি হয়। মানুষের শরীরে স্লো পয়জনিং করে। হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় সমস্ত মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন। এটি মস্তিষ্ক ও রক্তের ভেদ্যতা বাড়িয়ে দেয়। কয়েলের ধোঁয়া শিশুদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

পাঠকের মতামত

পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর মহেশখালীর ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ‘ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়ি ঢালা’ পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর। সুউচ্চ পাহাড়, ...

একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন দেশের ভ্রমণপিপাসু অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ...