প্রকাশিত: ২৩/০৪/২০১৭ ৯:৪৫ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
কক্সবাজার জেলার রাজনৈতিক সচেতন এলাকা উখিয়া টেকনাফ। বাংলাদেশের সংসদীয় আসনের মধ্যে কক্সবাজার ৪ উখিয়া টেকনাফ এ ভাগ্যবান আসনটিতে যেদলের প্রার্থী নির্বাচিত হয় সেই দলই সরকার গঠন করে থাকে। রাজনীতিতে এখন ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের এই আসনটিকে ঘিরে। জনতার রায়ে ভোটের মাঠে রাজনৈতিক ফসল কে কিভাবে ঘরে তুলবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা, হিসাব-নিকাশ। এরই অংশ হিসেবে একে অন্যের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে বড় দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি একে অন্যকে চাপে ফেলে নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি নিজেদের অনুকুলে নিতে চাইছে, যাতে ফল তাদের পক্ষে যায়। জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে থাকলেও এখানে তাদের কার্যক্রম বা ভুমিকা কী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠে নেমে পড়েছে আওয়ামীলীগ। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সংবিধান অনুসারে তিন মাস আগে নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার বিধান রয়েছে, সে হিসাবে নির্বাচন হতে পারে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। অঙ্কের হিসাবে নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১৫ মাস। বর্তমান সময়ে উখিয়া টেকনাফের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ধরনে দেখা যাচ্ছে ভোটমুখী রাজনৈতিক কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে দলটি। আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী রাজা (প্রকাশ রাজা শাহ আলম)। এরা ছাড়াও ভেতরে ভেতরে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন আরো অনেকেই। এখানে বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদির প্রতি সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে দরদ। এক সময়ে উখিয়া টেকনাফ ছিল বিএনপির ঘাঁটি। ক্ষমতাসীন দলের মামলা হামলায় অনেকটা কৌশলী বিএনপি। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচন করা সহজ হবে না। এক তরফা নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, তাই সহায়ক সরকারের আহবান জানানো হচ্ছে। এবার ৫ ই জানুয়ারির মতো ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা মনে করি একমাত্র ভোটের মাধ্যমেই সরকার বদল হতে পারে। উখিয়া টেকনাফের মাটি বিএনপির ঘাটি সেটা সময়ে প্রমাণ দেয়া হবে। বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামী প্রায় নিষিদ্ধের পথে, দলটির পরিচিত প্রতীক দাঁড়িপাল্লা আইনে নিষিদ্ধ। সংগঠনের চালকের আসনে থাকা লোকগুলো যুদ্ধাপরাধ মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলেছে। বলতে গেলে দলটি এখন ছিন্নভিন্ন। মাঠে তাদের ভোট রয়েছে। সাংগঠনিক কাঠামো ধসে পড়েছে বলে মনে হলেও নেতাকর্মীদের মনোবল এখনো চাঙ্গা। এ প্রসঙ্গে ককসবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, আমরা এখনো জোটে আছি। তাই জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বলা যাবে না। জোটগতভাবে আসন বিন্যাসে উখিয়া টেকনাফের এই ভাগ্যবান আসনটি চাইতে পারেন কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইসলামের জন্য উর্বর অন্যান্য আসনের চেয়ে এই আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কে প্রার্থী হতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তার নাম গোপন রেখে প্রথমেই বলেন সাবেক উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট এ, কে, এম শাহ জালাল চৌধুরী অথবা সাবেক জেলা আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান। আপনার নাম ও শুনা যাচ্ছে এমন কথায় দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...