ডেস্ক রিপোর্ট ::
বহু কাঙ্ক্ষিত কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন আগামীকাল বুধবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ৮৩ হাজার ৭২৮ জন ভোটার। সোমবার (২৩ জুলাই) রাতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষের মধ্যদিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বুধবার কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩৯টি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ২২৪টি ও অস্থায়ী ১১টি বুথ খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রতিটি বুথে একজন করে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ৪৪৮ জন পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র আরও জানায়, ২৪ জুলাই দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা থেকে ২৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় বেবিটেক্সি/অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস ট্রাক ও ট্যাম্পু চলাচল করতে পারবে না। ভোট গ্রহণের পরদিন অর্থাৎ ২৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৩৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট দিতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যে ১২ ওয়ার্ডের ৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তাদের সঙ্গে থাকবে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা ব) ৬টি টহল দল এবং প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ থাকবে। প্রতি দুইটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়াও আর্মড পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ সব মিলে প্রায় এক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। দরকার হলে আরও এক প্লাটুন বিজিবি দেওয়া হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার তার সবই আমরা করবো। নির্বাচনে প্রায় এক হাজার জন নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকবে। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চার স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। আশা করি প্রত্যেকটি সংস্থা, প্রার্থী, জনগণ, রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা সহযোগতিা পাবো। সবার নিরপেক্ষ আন্তরিকতায় কক্সবাজার পৌর নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা বোর্ড পরিক্ষায় ...
পাঠকের মতামত