ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/১১/২০২৩ ৫:৪৭ পিএম

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে দেশটির বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠীর সাথে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষের সময় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কায়াহ রাজ্যে গুলি চালিয়ে বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করেছে ওই গোষ্ঠীটি। রোববার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনাকে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের জন্য আরেকটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রয়টার্স বলছে, শনিবার দেশটির সেনাবাহিনী ও কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) মধ্যে লড়াইয়ের সময় থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে পূর্ব মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যে ওই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কেএনডিএফ এই যুদ্ধবিমানে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করার দাবি করেছে।

জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভিকে বলেছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন। পাইলটরা সামরিক বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছেন।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির একাধিক ফ্রন্টে বিরোধী ও বিদ্রোহী শক্তিগুলোর সাথে লড়াই করছে। দুই বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তার বিরুদ্ধে তখন থেকে লড়াই করছে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী এবং জান্তা বিরোধী মিলিশিয়ারা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নজিরবিহীন সমন্বয়ের সাথে পরিচালিত হচ্ছে জান্তাবিরোধী ও বিদ্রোহীদের লড়াই।

সেনাবাহিনীর সমর্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বিদ্রোহ কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে মিয়ানমার ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বে শান রাজ্যে সংঘাতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের সাথে সামরিক বাহিনীর সংঘাতে এই রাজ্যের বাণিজ্যিক পথ বন্ধ হয়ে গেছে। গত মাসে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীগোষ্ঠী জান্তাবিরোধী অভিযান শুরু করার পর থেকে কয়েকটি শহর বিদ্রোহীদের দখলে গেছে।

মিয়ানমারে লড়াইরত সব পক্ষকে সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট বলেছে, তারা সামরিক বাহিনীর শতাধিক চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শান রাজ্যের পশ্চিমে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং শহরেও হামলা চালানোর দাবি করেছে এই জোট।

ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের নাগরিকসহ শত শত বিদেশী কর্মী মিয়ানমারে পাচারের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, পাচারের শিকার বিদেশিরা জান্তার সাথে বিদ্রোহীগুলোর লড়াইয়ে মাঝে আটকা পড়েছেন।

শনিবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মিয়ানমারে অন্তত ২০০ থাই নাগরিক আটকা পড়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে এই নাগরিকদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে কেএনডিএফ বলেছে, তাদের সদস্যরা শনিবার ভারি মেশিনগান থেকে গুলি চালিয়ে সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত করেছে। কেএনডিএফের সদস্যরা বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটদের খুঁজছে। তবে তাদের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্র: রয়টার্স

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...