ডেস্ক নিউজ:
সাতক্ষীরা ও ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ নেতা আব্দুল কালাম আজাদসহ দেলোয়ার হোসেন নামে দু’জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার বাঁশদাহ ইউনিয়নের কয়ার বিল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও কেড়াগাছি ইউনিয়নের আবুল কাসেমের ছেলে এবং দেলোয়ার হোসেন বাঁশদাহ গ্রামের বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, শনিবার বিকেলে বাঁশদাহ বাজার থেকে দুই কেজি গাঁজা ও ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ ও দেলোয়ারকে আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় রাতে সীমান্ত দিয়ে মাদকের বড় একটি চালান আসছে।
এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সীমান্তবর্তী কয়ার বিলে অভিযানে চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মাদক চোরাকারবারীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে সময় মাদক চোরাকারবারীরা পিছু হটে।
তিনি আরও জানান, পরে ঘটনাস্থল থেকে কালাম ও দোলোয়ারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে তিন কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল, একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকায় উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড় নামক স্থানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার মোরাদ আকন্দ নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে ডাকাত সর্দার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারী গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
উভয় পক্ষের গোলাগুলির মাঝে ওই এলাকার শাহজাহান আকন্দের ছেলে ডাকাত সর্দার মুরাদ আকন্দকে উপজেলার উথুরা রোডে হাইজ্যাক মোড় ব্রিজে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, মুরাদ আকন্দ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ওরেন্টসহ ৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি রামদা, ১টি চাপাতি ও ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত