প্রকাশিত: ১৯/০৫/২০২০ ৮:১০ পিএম

গত কয়েকদিন ধরে “আলোকিত উখিয়া, কক্সবাজার নিউজ, ভয়েসওয়ার্ল্ড২৪” নামক অনলাইন নিউজসহ কয়েকটি ফেসবুক আইডি এবং ১৮ মে দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত “বালুখালীতে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নুরুল আলম” শীর্ষক সংবাদ এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। যা মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দ্যেশ্যমুলক।

যে ভিডিওটি যে প্রকাশ করেছে, তাহা এডিট করা।ওইসব কুচক্রীমহলের সাজানো কল্প কাহিনী। যা সূদুর প্রসারী ষড়যন্ত্রের নীল-নকশা ছাড়া কিছুই নয়।

ইয়াবা বক্তারের বাড়িতে ধরে নিয়ে দিদার নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে জোর করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে নুরুল আলম চৌধুরী। এমন স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।

অথচ উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডাকে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে পুনঃ স্বীকারোক্তিতে বিস্তারিত বর্ণনা দেয় দিদার। ওই সময় দিদার বলেছে তাকে বক্তারের বাড়িতে জিম্মী মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে মর্মে জবানবন্দি দেয়। তাতে প্রমাণ হয়, কারা বালুখালীর শান্ত মাটিতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাই।

এধরণের আরো অনেকেকে ধরে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে দিয়েছে ফজল কাদের ভুট্রো, ইয়াবা বক্তার, জাহাঙ্গীর, নুরুল আলম ও রিদুয়ান নামের সিন্ডিকেট সদস্যরা। এতে প্রমাণ হয় কারা ষড়যন্ত্র করছে।

তারা পরিকল্পিত ভাবে আমি নুরুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে জনৈক আবদুল গফুর নামক এক ব্যক্তিও মিথ্যা ভিডিও ছেড়েছে। সে ভিডিও বার্তায় যেসব মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করেছে, তার জবাব দিতেই আমার সংবাদ সম্মেলন এবং প্রতিবাদ।

ভিডিও বার্তায় আমি নুরুল আলম চৌধুরী র‍্যাব এর নাম ভাঙ্গিয়ে এক লাখ টাকা গ্রহণ এবং বিদেশ নেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি নুরুল আলম চৌধুরী আজ সংবাদ সম্মেলন করে চ্যালেঞ্জ পূর্বক পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে বলতে চাই, আমি বিগত ১৫ বছর প্রবাসে ছিলাম। প্রবাস থেকে ফিরে ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি। প্রবাস থেকে ফেরার পর আমার প্রানের সংগঠন কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের অর্থ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

মাদক, ইয়াবা, অপরাধ নির্মুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমার এসব কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পালংখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড থেকে আগামী ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে আমার আত্নীয়স্বজন,পাড়ালী, প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষী মহল উৎসাহ যুগিয়ে অনুপ্রাণিত করছে। কিন্তু আমি নির্বাচন করবো কি করবো না, তা কাউকেই জানায়নি।

সম্প্রতি ২নং ওয়ার্ডের একটি কুচক্রী মহল এলাকার আধিপত্য বিস্তারে, ইয়াবা কারবারি সিন্ডিকেট আমার রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ীক, পারিবারিক জনপ্রিয়তার উত্থান দেখে প্রতিহিংসার বশীভুত হয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। দিন দিন নতুন নতুন সংঘাতের মত মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করছে।

এমনকি উক্ত সিন্ডিকেটের লোকজন আমাকে প্রাণে মারার জন্য বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। নেমেছে নানা অপপ্রচারে। আমি পবিত্র কোরআনের কসম খেয়ে বলতে চাই, কোন দিন, কোন সময় অন্যায় তো দূরের কথা, কোন হারামী ব্যবসা, হারামী টাকা আয় করে সংসারে ব্যয় করিনি। কিন্তু যারা এলাকার আধিপত্য বিস্তারে, ইয়াবা কারবারি, তারাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।

ভিডিও বার্তায় যে আবদুল গফুর র‍্যাবের নাম ভাঙিয়ে এক লাখ টাকার কথা বলেছে, তা মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দ্যেশ্যমূলক আমার বিরুদ্ধে সুদুর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। জুনু চৌকিদার বিগত ছয় মাস পূর্বে রামুতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলে রয়েছে। ওই সময় আমি টাকা নিয়ে থাকলে? এতদিন কোথায় ছিল আবদুল গফুর? কোন জনপ্রতিনিধি বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নিকট নালিশও করলো না? আর যিনি ভিডিও করছেন এবং নানা অপবাদ তুলে ধরে প্রশ্ন করছেন, তিনি কে? নিশ্চয় চিনতে পারছেন (ফজল কাদের ভুট্রো, যিনি বহু অপকর্মের হোতা, ডজন মামলার আসামী) তার বিষয়ে বুঝতে বাকি থাকলোনা।

হটাৎ আবদুল গফুর কার বা কাদের ইশারায় এমন অপবাদ-অপপ্রচারে নেমে বালুখালীর শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করার হীন প্রচেষ্টায় নেমেছে পাঠকের বুঝতে বাকি রইলনা।

আবদুল গফুর জুনু চৌকিদারের আপন মামা।তাঁর আরেক মামা নুর মোহাম্মদ গত ১২ মে রামুর তুলাবাগান হাইওয়ে ক্রসিং থানায় ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেলে যান। ওই ইয়াবা গুলো আবদুল গফুরের দেওয়া চালান বলে সুত্রে জানতে পারি।

প্রকৃতপক্ষে এসব অপপ্রচার বালুখালীর আধিপত্য বিস্তারকারী জনৈক ভুট্রো, ইয়াবা বক্তার, জাহাঙ্গীর, চৌকিদার জুনু বাহিনীর সাজানো কল্প কাহিনী মাত্র।
বালুখালীর শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করে তোলার অপপ্রয়াস। তাদের ইয়াবা ব্যবসার কর্মকান্ড আড়াল করতেই নিজেরাই সাধু সাজার চেষ্টা করে অন্যের নামে অপপ্রচারে নেমেছে। তাতে প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষ ইন্ধন যোগাচ্ছে ভুট্রো বাহিনী, বক্তার, জাহাঙ্গীর ও রিদুয়ান।

জনৈক আবদুল গফুরের ভিডিও স্বাক্ষ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত মিথ্যাচারের অভিযোগে কোন ধরণের জড়িত বা সম্পৃক্ত না থাকার কথা জানাচ্ছি পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে।

প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, আমি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উখিয়ার দায়িত্বশীল হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় রেখে ইয়াবা-মাদক ও অপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তাতে বালুখালীর চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী, ডজন মামলার আসামী হাজী আবদুল মজিদের ছেলে বক্তার আহমদ ওরপে ইয়াবা বক্তার, আপন সহোদর ভাই জাহাঙ্গীর আলম, হোছাইন আলীর ছেলে ফজল কাদের ওরপে ফকা ভুট্রো মিলে নুরুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অপর সিন্ডিকেট সদস্য সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রিদুয়ান সিদ্দিকী বর্তমানে বক্তার- জাহাঙ্গীর ইয়াবার অংশীদার ছাড়াও পালংখালী ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইয়াবার চালান নিয়ে কারান্তরীন জয়নাল মেম্বারের ইয়াবার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। ইতিমধ্যে আমার কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাতে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এসব করছে উল্লেখিতরা ব্যক্তিরা।

আমার বিরুদ্ধে বহুমুখী অপপ্রচারে নেমে আমার রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। এমন কি আমাকে অপহরণ পূর্বক হত্যা করিবে মর্মে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে। তাদের এসব চক্রান্ত আগেই জানতে পেরে আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার বরাবর এবং পুলিশের বিশেষ শাখায় লিখিত আরজি দাখিল করেছি।

এ বিষয়ে উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করি যার নাম্বার ৫৭৬/২০২০,তাং – ১৩/০৫/২০২০। আমার বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডিতে প্রচারিত স্ট্যাটাস দেখে আমি নিজেই বিষ্মিত হয়েছি। উক্ত স্ট্যাটাস,পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পাঠক কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :

নুরুল আলম চৌধুরী
২নং ওয়ার্ড, পালংখালী ইউপি,
স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগ।
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম।
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা শাখা, কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে ভোটকেন্দ্রে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ধরা মাদ্রাসাছাত্র

কক্সবাজারে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ভোটকেন্দ্রে এনএসআইয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ...

কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার হানিফ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩৭ টি ভোট কেন্দ্রের প্রাথমিক ফলাফলে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ...